close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন যে, ইসরাইলি বাহিনী সিরিয়ার সদ্য দখল করা অঞ্চলে দীর্ঘ সময় অবস্থান করবে। সিরিয়ার মাউন্ট হারমনের শীর্ষে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
প্রথমবারের মতো কোনো ক্ষমতাসীন ইসরাইলি নেতা সিরিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছেন। তার সঙ্গে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ, আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হ্যালেভি, শিন বেত প্রধান রনেন বাত এবং নর্দার্ন কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল উইরি গর্ডিন।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পর জাতিসংঘ তত্ত্বাবধানে থাকা বাফার জোনে ইসরাইলি বাহিনী প্রবেশ করে। উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালের একটি চুক্তি অনুসারে এই অঞ্চল বাফার জোন হিসেবে চিহ্নিত ছিল। তখন ইসরাইল জানিয়েছিল, তারা অল্প সময়ের জন্য এই অঞ্চলে থাকবে।
মাউন্ট হারমন এমন একটি জায়গা, যেখান থেকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক স্পষ্ট দেখা যায়। এই কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়ের চূড়া থেকেই নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, "ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনী এখানে থাকবে।"
নেতানিয়াহুর বক্তব্য:
স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, "৫৩ বছর আগে আমি আমার সৈন্যদের নিয়ে সায়েরেত মাতকলে টহলে ছিলাম। স্থানটি তখন যেমন ছিল, এখনও তেমনই রয়েছে। তবে ইসরাইলের নিরাপত্তার গুরুত্ব অনুধাবন করে এখানে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "ইসরাইল তার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এবং এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।"
বিশ্লেষণ:
ইসরাইলি বাহিনীর এই দীর্ঘমেয়াদি উপস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, সিরিয়ার দখলকৃত অঞ্চল ইসরাইলের কৌশলগত নিরাপত্তার একটি মূল অংশে পরিণত হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
পাঠকের জন্য প্রশ্ন:
ইসরাইলের এই অবস্থান কি তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, নাকি আরও সংঘাতের জন্ম দেবে? আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না!
Nenhum comentário encontrado