ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ড্রোন তৈরির কারখানা গুঁড়িয়ে দিল ইরান..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েলের গোপন ড্রোন কারখানা গুঁড়িয়ে দিল ইরান! তেহরানে অভিযান চালিয়ে মোসাদের হয়ে কাজ করা দুই ব্যক্তি গ্রেফতার ও বিপুল অস্ত্র জব্দ। তেলআবিবের বুকে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ইরানের পাল্টা আঘাতে। পুরো ঘটনা জানলে আপন..

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তাল রাজনৈতিক আবহে এক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটে গেল তেহরানে।
ইসরায়েলের অন্যতম গোপন অস্ত্র—ড্রোন তৈরির একটি গোপন কারখানা তেহরানে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরানি নিরাপত্তা বাহিনী। শুধু তাই নয়, এই অভিযানের মাধ্যমে ইরান বুঝিয়ে দিল, গোপন হামলা নয়—এখন প্রকাশ্য প্রতিরোধের সময় এসেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ-এর হয়ে কাজ করছিল এমন সন্দেহে তেহরান ও আলবোর্জ প্রদেশে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ইরানি নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় এবং উদ্ধার করা হয় বিস্ময়কর সব সামরিক সরঞ্জাম।

গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে যা পাওয়া গেছে তা শুধু চাঞ্চল্যকরই নয়, ভয়াবহও।
মোসাদের এই কারখানার ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়:

  • 🔸 ২০০ কেজিরও বেশি শক্তিশালী বিস্ফোরক

  • 🔸 ২৩টি ড্রোনের মূল যন্ত্রাংশ

  • 🔸 ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা

  • 🔸 নানা ধরনের যুদ্ধোপযোগী প্রযুক্তিগত যন্ত্রপাতি

  • 🔸 অভিযান চলাকালে ব্যবহৃত একটি নিসান পিকআপ ট্রাক

এই সব সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশের উপস্থিতি প্রমাণ করে—ইরানের ভেতরে সক্রিয়ভাবে চালানো হচ্ছিল একটি জঘন্য অন্তর্ঘাতমূলক প্রকল্প, যার লক্ষ্য ছিল দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটানো।

ইরানি পুলিশের মুখপাত্র সাঈদ মন্তাজের আল-মাহদী সংবাদমাধ্যমকে জানান, তেরহানের দক্ষিণে "রে কাউন্টির ফাশাফুয়েহ এলাকায়" এই বিপজ্জনক অভিযান পরিচালিত হয়।
গ্রেফতারকৃতরা পরিকল্পনা করছিল কৌশলগত স্থাপনাগুলোতে আত্মঘাতী ড্রোন হামলা চালিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে।

এর মানে দাঁড়ায়, ইসরায়েলের মোসাদ শুধু বাইরে নয়, ভেতরেও বিস্ফোরণের ছক এঁকেছিল—কিন্তু তাতে এবার কার্যত বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে তারা।

এই ঘটনার ঠিক পরপরই ঘটে আরেক নাটকীয় মুহূর্ত।
১৩ জুন রাতে ইসরায়েল তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন শহরের আবাসিক এলাকায় বিমান হামলা চালায়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, এটি ছিল একাধিক শহরের ওপর নজিরবিহীন আক্রমণ।

জবাবে ইরানও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। টার্গেট ছিল ইসরায়েলের ঘুম ভাঙানো শহরগুলো—
তেলআবিব, জেরুজালেম এবং হাইফা।

ইরানি প্রতিরোধের মুখে ইসরায়েলের বেশ কিছু এলাকায় জনজীবন কার্যত অচল হয়ে পড়ে। বহু মানুষ বোমাশেল্টারে আশ্রয় নেয়, দোকানপাট বন্ধ করে দেয় শহরের প্রাণকেন্দ্রগুলো।

বিশ্ব মিডিয়া ও পর্যবেক্ষক মহলে এই ঘটনার তাৎপর্য অনেক গভীর।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধু ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার পাল্টাপাল্টি আঘাত নয়—এটি মধ্যপ্রাচ্যে এক নতুন যুদ্ধের ইঙ্গিত

মোসাদের মতো একটি গোপন গোয়েন্দা সংস্থার অপারেশন ভেঙে দেওয়া নিঃসন্দেহে এক বড়সড় বার্তা—ইরান এখন আর প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে নেই, বরং আক্রমণ প্রতিরোধে প্রস্তুত ও আগ্রাসী।

তেহরানে ইসরায়েলের ড্রোন কারখানা ধ্বংস এবং মোসাদ গুপ্তচরদের গ্রেফতার প্রমাণ করে দিয়েছে—মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিরোধ অক্ষ এখন অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত।
এই চমকে দেওয়া অভিযানের মধ্য দিয়ে ইরান কেবল নিজের নিরাপত্তা নয়, বরং গোটা মুসলিম বিশ্বকেই বার্তা দিল—
যারা আগুন ছড়াবে, তাদের ছাই হওয়ার দিনও আসবে!

Tidak ada komentar yang ditemukan


News Card Generator