close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইসরায়েলে প্রবল বিক্ষোভের মুখে নেতানিয়াহু, গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় নতুন করে অভিযান চালানোর প্রতিবাদে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাব..

ইসরায়েল সরকারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রবল বিক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে হাজার হাজার ইসরায়েলি নাগরিক রাস্তায় নেমে এসেছেন। গাজায় নতুন করে হামলা চালানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের সূত্রপাত। ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে, ইসরায়েলি নাগরিকরা সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করতে শুরু করেছেন।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবি নিয়ে ইসরায়েলের বড় শহরগুলোতে বিক্ষোভ শুরু হয়। তেল আবিব, যেরুজালেম সহ বিভিন্ন শহরে জনতার উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। এতে প্রমাণিত হয়েছে যে, সাধারণ মানুষ শান্তির পক্ষে শক্তিশালী আওয়াজ তুলছেন। বিশেষ করে, রাজধানী তেল আবিবের হাবিমা স্কয়ারে বিশাল সংখ্যক বিক্ষোভকারী ইসরায়েলের নীল-সাদা পতাকা হাতে আন্দোলন করেছেন। তাদের মূল দাবি ছিল গাজার বন্দী ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তি এবং নতুন করে শান্তি আলোচনা শুরু করা।

এদিকে, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা শেন বেতের প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্ত করার সরকারি সিদ্ধান্তও সমালোচনার ঝড় তুলেছে। গাজার পরিস্থিতি এবং ইসরায়েলি সরকারের তৎপরতা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।

মোশে হাহারোনি (৬৩) নামের এক প্রতিবাদকারী রয়টার্সকে বলেন, ‘বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় শত্রু। তিনি ২০ বছর ধরে আমাদের দেশের নাগরিকদের কথা শোনেননি।’ অন্যদিকে, ইরেজ বারম্যান (৪৪) নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আবারও গাজায় ভয়াবহ যুদ্ধের পরিস্থিতি। নেতানিয়াহু সরকার তার লক্ষ্য অর্জনে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।’

এই বিক্ষোভের ফলে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং অনেক সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিবাদকারীরা অভিযোগ করছেন যে, সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে গাজার মানুষ এবং ইসরায়েলিরা দুই পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পুলিশ এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে, এবং তাদের বিরুদ্ধে গোপন উদ্দেশ্যে বিক্ষোভে অংশ নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এটি স্পষ্ট যে, বিক্ষোভকারীরা এখন একযোগে শান্তি এবং গাজায় যুদ্ধ বন্ধের জন্য সরকারকে চাপ প্রয়োগ করতে চাইছেন।

Inga kommentarer hittades