close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে নেমে গেছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যেখানে বুধবার (৮ জানুয়ারি) এই তাপমাত্রা ছিল ১৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপমাত্রা হ্রাসে প্রভাব
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানিয়েছেন, মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রার এই বড় ধরনের পরিবর্তনের ফলে ঠান্ডা বাতাস বইছে। এ তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। শীতের প্রকোপে অনেক শ্রমজীবী মানুষ কাজে যেতে পারছেন না। ফুটপাত, রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাসমান মানুষদের কাটাতে হচ্ছে নির্ঘুম রাত।
শীতজনিত রোগের প্রভাব
তীব্র ঠান্ডার ফলে হাসপাতালে এবং চিকিৎসকদের চেম্বারে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসক ডা. কেসি দত্ত বলেন, "শীতজনিত রোগের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। তাই গরম কাপড় পরা এবং বাড়তি সতর্কতা নেওয়া জরুরি।"
স্থানীয়দের অভিজ্ঞতা
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেল থেকেই শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তাপমাত্রার এমন পতনে প্রতিদিনের কাজকর্মে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
তীব্র শীতের এমন আচমকা পরিবর্তন ঈশ্বরদীবাসীর জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে সচেতন থাকার পাশাপাশি শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
Hiçbir yorum bulunamadı