close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ট্রাম্প বলেছেন, ইরান যদি শান্তিপূর্ণ আচরণ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করে, তাহলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে; পাশাপাশি আব্রাহাম চুক্তিতে নতুন দেশ যোগের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।..

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য তাদের শান্তিপূর্ণ আচরণ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা জরুরি। ফক্স নিউজে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যদি ইরান শান্তিপূর্ণভাবে চলাচল করে এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়, তাহলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সম্ভব।”

ট্রাম্পের বক্তব্য অনুযায়ী, “লক্ষ্য অর্জনে কঠোরতা বা নেতিবাচকতার চেয়ে সদয় ও শান্তিপূর্ণ মনোভাব বেশি ফলপ্রসূ।” তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ইরানের জন্য একটি বিশাল পরিবর্তন হয়ে দাঁড়াবে।

তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালানোর আগে ইরান তাদের ভারী ও বিপজ্জনক ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিতে পারেনি, কারণ এটি দ্রুত সরানো সম্ভব নয়। “আমরা আগাম সতর্কবার্তা দিয়িনি, তাই তারা প্রস্তুত ছিল না,” বলেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প দাবি করেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলায় ইরান ‘ক্লান্ত’ হয়ে পড়েছে এবং তাদের সামর্থ্য এখন পরমাণু কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। তিনি বলেন, “আগামী কিছু সময়ের জন্য, তারা পরমাণু নিয়ে আর কিছু করবে না।”

ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তৈরি আব্রাহাম চুক্তিতে আরও কিছু দেশ যোগ দিতে পারে। যদিও তিনি সুনির্দিষ্ট কোনও দেশের নাম দেননি, তিনি বলেন, “আমাদের সঙ্গে ইতোমধ্যেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ দেশ রয়েছে, এবং আরও কিছু দেশ যোগ দেবে।”

ট্রাম্পের মতে, ইরান এই পুরো অঞ্চলের প্রধান সমস্যা, এবং আব্রাহাম চুক্তি সেই সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ইরানের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ট্রাম্পের এই শর্তসাপেক্ষ ভাবনার ফলে ইরানের ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন মোড় নিতে পারে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি ইরান সত্যিই শান্তিপূর্ণ আচরণ শুরু করে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ায়, তাহলে এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হতে পারে।

গত কয়েক বছরে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বেশ সংকটময় পর্যায়ে পৌঁছেছে। পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে মতবিরোধ ও মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তার নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত রয়েছে। ট্রাম্পের এই শর্ত ও ইঙ্গিত অঞ্চলটিতে কূটনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা হ্রাসের আশা জাগাচ্ছে।

ট্রাম্পের শর্তসাপেক্ষ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ইরান ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় সূচনা করতে পারে। এর মাধ্যমে ইরানের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নতি পেতে পারে এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।

একই সঙ্গে, আব্রাহাম চুক্তিতে আরও দেশ যোগ হওয়া এই অঞ্চলের সামগ্রিক স্থিতিশীলতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

Nema komentara


News Card Generator