close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইরানের ২০ ক্ষে'প'ণা'স্ত্র আ'ঘা'ত হানলো ই'স'রা'য়ে'লে..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় এলাকায় আঘাত হেনেছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র—রাত্রি কেঁপে উঠেছে বিস্ফোরণের শব্দে। একের পর এক হামলা ও পাল্টা হত্যাকাণ্ডে ঘনীভূত হচ্ছে যুদ্ধের মেঘ। ইসরায়েল দাবি করছে—তারা হত্যা করেছে ইরানে..

মধ্যপ্রাচ্য আবারও উত্তপ্ত। রাত্রি নামতেই বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠলো ইসরায়েলের আকাশ।
বিবিসির সরাসরি লাইভ রিপোর্টে জানা গেছে, ইরান সর্বশেষ হামলায় ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

ইসরায়েলের একজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা জানান, "হামলার সময় ইসরায়েলের আকাশে বিকট বিস্ফোরণ হয়। অন্তত একটি ক্ষেপণাস্ত্র রাজধানী তেলআবিবের কেন্দ্রীয় অংশে বিস্ফোরিত হয়েছে। বাকি বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করা গেছে, কিছু খোলা জায়গায় আঘাত হেনেছে।"

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরো রাতজুড়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় বারবার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। লোকজন আতঙ্কে ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী দেশব্যাপী সতর্কতা জারি করে।

হামলার জবাবে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (IDF) দাবি করেছে, তারা এক সফল অভিযানে ইরানের একজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা আলী শাদমানিকে হত্যা করেছে।
আলী শাদমানি ছিলেন ইরানের সামরিক সদরদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, যেখান থেকে রেভল্যুশনারি গার্ড ও সেনাবাহিনীর যৌথ সামরিক পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হতো।

জানা গেছে, শাদমানি সম্প্রতি দায়িত্ব গ্রহণ করেন গোলামালি রাশিদের মৃত্যুর পর। গোলামালি রাশিদ গত সপ্তাহেই ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন। ফলে এই হত্যাকাণ্ডকে ইরান সরাসরি এক "কৌশলগত খেলা" হিসেবে দেখছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মুহূর্তে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক চরম উত্তেজনার মুখে। একাধিক জেনারেল হত্যাকাণ্ড এবং সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র বিনিময়—এগুলো আর নিছক সীমান্ত উত্তেজনা নয়।

আঞ্চলিক যুদ্ধের সম্ভাবনা এখন আর কল্পনা নয়, বরং এক বাস্তব ভয়।
মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত পশ্চিমা রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন—তিন পরাশক্তিই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে।

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব এক বিবৃতিতে দুই পক্ষকে "সংযম" অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে আরব লিগ এবং ওআইসি (OIC)–ও এই সহিংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানান, “আমরা শান্তি চাই, কিন্তু যদি কেউ আমাদের দেশ আক্রমণ করে, আমরা তার উপযুক্ত জবাব দেব।”

コメントがありません


News Card Generator