close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইরানে ইসরাইলি হামলায় নিহত ৬৩৯! সরাসরি যুদ্ধে নামছে যুক্তরাষ্ট্র, ট্রাম্পের সামরিক আঘাতের অনুমোদন!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানে ইসরাইলি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩৯ জনে। এবার যুক্তরাষ্ট্রও প্রস্তুতি নিচ্ছে সরাসরি হামলার! মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন সামরিক অভিযান চালানোর জন্য। লক্ষ্যবস্তুত..

ইরানে ইসরাইলের চালানো সাম্প্রতিক বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩৯ জনে, যা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু হতে পারে যে কোনো সময়। এরইমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে সামরিক হামলার পরিকল্পনায় সক্রিয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

ব্লুমবার্গ নিউজ তাদের একটি বিশেষ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানে সম্ভাব্য সামরিক অভিযান চালাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। একাধিক অজ্ঞাত সূত্রে জানা গেছে, হোয়াইট হাউস এবং পেন্টাগন মিলে একটি সুসমন্বিত আঘাতের ছক কষছে। এই পদক্ষেপ যে ওয়াশিংটন এখন সরাসরি সংঘর্ষে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তেমন ইঙ্গিতই মিলছে।

খবরে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যেই নীতিগতভাবে এই হামলার অনুমোদন দিয়েছেন। যদিও এখনো চূড়ান্ত নির্দেশনা আসেনি, তবে পরিস্থিতি ঘিরে হোয়াইট হাউসে জরুরি বৈঠক এবং কৌশলগত মিটিংগুলো চলছেই।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন—আগামী সপ্তাহান্তেই হামলার সম্ভাবনা রয়েছে। একাধিক ফেডারেল সংস্থা ও সামরিক শাখা ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে।

একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা বলেছেন, “আমরা এখন শুধু উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষায়। তেহরান যদি শেষ মুহূর্তে কোনো সমঝোতায় না আসে, তাহলে আঘাত অনিবার্য।”

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে রয়েছে ফোর্দো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। এটি পাহাড়ের নিচে অবস্থিত, ফলে এটিকে ধ্বংস করতে অত্যন্ত শক্তিশালী বোমার প্রয়োজন হবে। সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই স্থাপনাটি ধ্বংস করা হলে ইরানের পরমাণু সক্ষমতা বড় ধাক্কা খাবে।

অন্যদিকে, ট্রাম্প তাঁর উপদেষ্টাদের জানিয়েছেন যে, তিনি সামরিক পদক্ষেপের অনুমতি দিয়েছেন ঠিকই, তবে তেহরানের কাছ থেকে শেষ মুহূর্তে কোনো কূটনৈতিক সমঝোতার প্রস্তাব আসে কিনা, সেটিও তিনি বিবেচনায় রাখছেন। অর্থাৎ, যুদ্ধের পাশাপাশি সমঝোতার জানালাও খোলা রয়েছে — অন্তত এখনও পর্যন্ত।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ইরান, ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্র এই তিন পক্ষের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা এমন জায়গায় চলে এসেছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে বৃহৎ যুদ্ধের সূচনা ঘটাতে পারে। যদি এই সংঘর্ষ সরাসরি যুদ্ধে রূপ নেয়, তবে তার প্রভাব কেবল মধ্যপ্রাচ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি বাজার, অর্থনীতি ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিতেও বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

ইরানে ইসরাইলি হামলার রক্তাক্ত ফলাফল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ—এই দুই মিলিয়ে এখন মধ্যপ্রাচ্য এক ভয়াবহ সংঘর্ষের প্রহর গুনছে। ট্রাম্পের সামরিক পরিকল্পনার পরিণতি কী হবে, তা দেখার জন্য সারা দুনিয়ার দৃষ্টি এখন ওয়াশিংটন ও তেহরানের দিকে।

Hiçbir yorum bulunamadı


News Card Generator