close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ইরা নে র যা প্রয়োজন, তাই দিতে প্রস্তুত রা শি য়া, পুতিনের মুখপাত্র..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়া জানাল—ইরানের যা দরকার, তাই দিতে প্রস্তুত। এস-৩০০ থেকে মধ্যস্থতা—সবই সম্ভব, শুধু তেহরানের স্পষ্ট চাহিদার অপেক্ষা।..

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা যখন দিনকে দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, ঠিক তখনই রাশিয়া জানিয়ে দিলো এক ঐতিহাসিক বার্তা—ইরানের যা প্রয়োজন, তাই দিতে প্রস্তুত পুতিন প্রশাসন।
এই বার্তার ভেতরে যেমন রয়েছে কূটনৈতিক হিসেব, তেমনি রয়েছে সম্ভাব্য এক যুদ্ধজোটের আগুন জ্বালানোর ইঙ্গিত।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার এক আন্তর্জাতিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন,আমরা আমাদের অবস্থান জানিয়েছি। এটি ইরানি পক্ষের জন্য সমর্থনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রূপ। ভবিষ্যতে সবকিছুই নির্ভর করবে ইরানের চাহিদার ওপর।

তিনি আরও জানান, মস্কো এখনই সুনির্দিষ্ট কোনো সহায়তার কথা বলছে না। কিন্তু যা কিছু ইরান চায়—তা দেওয়ার প্রস্তুতি রাশিয়ার রয়েছে। তিনি পরিস্কার করে বলেন,আমরা জানি না ইরান কী চায়। তবে তারা যা বলবে, সেটার ভিত্তিতে আমরা কাজ করব।

বিশেষভাবে আলোচনায় এসেছে—রাশিয়া কি ইরানকে এস-৩০০ বা এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেবে? এ প্রশ্নের জবাবে পেসকভ এড়িয়ে না গিয়ে বরং উত্তপ্ত বার্তা দেন।
তিনি বলেন,সবকিছু নির্ভর করছে ইরান কী বলে। আমাদের ইরানি বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি রাশিয়া সত্যিই এস-৪০০ সিস্টেম ইরানকে দেয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত সমীকরণ একেবারে বদলে যাবে। কারণ এতে করে ইসরায়েল বা আমেরিকার বিমান হামলা কঠিন হয়ে যাবে।

এই সংঘাত নিরসনে রাশিয়া যে শুধু সমর সহায়তায় সীমাবদ্ধ থাকতে চায় না, সেটাও পরিষ্কার করে বলেন পেসকভ।
তিনি জানান,আমরা আমাদের মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছি। এটি সুনির্দিষ্ট একটি বিষয়।

গত ১৩ জুন রাতে মধ্যপ্রাচ্যে রক্তাক্ত পাল্টাপাল্টি আক্রমণের সূচনা হয়। ইসরায়েল ইরানের ভেতরে ঢুকে সরাসরি সামরিক অভিযানে নামে।
এই অভিযানে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা নিহত হন, এবং বেসামরিক এলাকাতেও বিস্ফোরণ হয়।

সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইরান প্রতিশোধমূলক হামলা চালায় ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনাগুলোর উপর। এর জবাবে ইসরায়েল আবারও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এখন পর্যন্ত উভয়পক্ষই হতাহতের কথা নিশ্চিত করেছে, এবং বেশ কয়েকটি স্থাপনাও ধ্বংস হয়ে গেছে।

এই সংঘাত যখন দুই দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, তখনই ঘটনা মোড় নেয়।
গতকাল রোববার ভোরে, যুক্তরাষ্ট্র বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমানের মাধ্যমে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় আক্রমণ চালায়
এই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন,আমরা সফলভাবে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছি।

বিশ্লেষকরা এটিকে ঘোষণা ছাড়াই তৃতীয় পক্ষের সরাসরি অংশগ্রহণ হিসেবে দেখছেন। ফলে পুরো অঞ্চল এক ভয়ংকর যুদ্ধের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।

রাশিয়ার এই ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক মহলে উৎকণ্ঠা বেড়েছে। কারণ যুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হয়, তাতে করে শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়—সমগ্র বিশ্ব এক নতুন সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।

বিশেষ করে ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষে আমেরিকা এবং রাশিয়ার এই অবস্থান বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি করতে পারে।

Tidak ada komentar yang ditemukan


News Card Generator