close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ইনু-মেনন-দীপু মনির ফের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
হত্যা মামলায় নতুন মোড়! রিমান্ডে কী তথ্য ফাঁস হতে পারে?

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত ওবায়দুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের মামলায় হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন ও দীপু মনিকে আবারও চার দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তদন্তের স্বার্থে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হলেও আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


বিস্তারিত প্রতিবেদন:

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ওবায়দুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে ফের চার দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

🔹 আদালতের রায়:
বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালতে শুনানি শেষে এই রিমান্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে জোরালো যুক্তি উপস্থাপন করেন। অন্যদিকে, আসামিদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে পিটিশন জমা দিলেও শুনানিতে অংশ নেননি।

🔹 কী রয়েছে মামলার অভিযোগপত্রে?
মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, গত বছরের ৪ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতাকর্মীরা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ওবায়দুল ইসলাম।

এই ঘটনায় নিহতের স্বজন মো. আলী বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে আলোচিত ইস্যুতে পরিণত হয়েছে এবং এর তদন্তে নতুন নতুন তথ্য উঠে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

🔹 কেন গুরুত্বপূর্ণ এই রিমান্ড?
বিশ্লেষকদের মতে, ইনু, মেনন ও দীপু মনির রিমান্ডে থাকার সময় এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের পরিকল্পনা, অস্ত্রের উৎস ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।

এখন দেখার বিষয়, এই রিমান্ডের মাধ্যমে মামলার তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয় এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে এর কী প্রভাব পড়ে।

Nessun commento trovato