close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
ইজতেমার মাঠ দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনাকে "অনাকাঙ্ক্ষিত" উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ একটি ফেসবুক পোস্টে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি জানান, সাদপন্থী সমর্থিত 'সচেতন ছাত্র সমাজ' থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এবং মাওলানা সাদ সাহেবের ভিসার জন্য বাসভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে আলোচনার জন্য টঙ্গী যান তিনি।
আলোচনার বিবরণ
হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, টঙ্গীতে তাদের মূল আলোচনার বিষয় ছিল:
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার।
সাদপন্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান।
মাওলানা সাদ সাহেবের ভিসা জটিলতা নিরসনে পুনরায় আলোচনা।
আলোচনার সময় সাদপন্থীরা ২৫ তারিখে ময়দান ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, "আমরা স্পষ্ট করে জানিয়েছি, এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কাকরাইলের মাওলানা জুবায়ের সাহেব এবং অন্যান্য ওলামায়ে কেরাম।" আলোচনার সময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মাহফুজুল হক এবং মাওলানা মামুনুল হক।
গুজব এবং সংঘর্ষের সূত্রপাত
হাসনাত বলেন, মধ্যরাতে সাদপন্থীদের একজন মুফতির একটি ভিডিও পোস্ট তাদের নজরে আসে। এতে দাবি করা হয়, তারা নাকি সাদপন্থীদের জোর করার অনুমতি দিয়েছেন। হাসনাতের মতে, এই ভিডিও তাদের সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ বিপরীত।
তিনি আরও জানান, "আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, কোনোভাবেই ইজতেমার ময়দানে প্রবেশ করা যাবে না। কিন্তু এর আগেই সংঘর্ষের নির্মম ঘটনা ঘটে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।"
শান্তি বজায় রাখার আহ্বান
এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "সমগ্র দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার দায়ভার আমাদের সবার। দেশের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কাজ করে যাব।"
চূড়ান্ত মন্তব্য
এই সংঘর্ষ দেশের স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলেছে। হাসনাতের বক্তব্যে স্পষ্ট, পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আগেই শান্তি ও সংলাপের মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করা জরুরি।
Комментариев нет