প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, নামাজের নির্ধারিত সময় সকাল ৯টায়, কিন্তু ইমাম নির্বাচন নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আলী আকবর নামাজ পরিচালনার জন্য দুজন ইমামের দায়িত্ব বণ্টনের প্রস্তাব দেন।
এ সময় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম তরফদার জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে ফোন করা হয়েছিল যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে। তিনি উপস্থিত মুসল্লিদের জানান যে বর্তমান মিম্বারে থাকা ইমামই নামাজ পড়াবেন এবং অন্য কোনো বিকল্প গ্রহণযোগ্য নয়।
তার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে অধিকাংশ মুসল্লি ঈদগাহ মাঠ ত্যাগ করেন। এ সময় যুবলীগ নেতা সোহাগ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইদুর এবং আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল আলম তরফদারের উসকানিতে ছাত্রলীগের হিরু ও রাজুসহ ১৫-২০ জন বাঁশের লাঠি নিয়ে হামলা চালায়।
হামলার শিকার ও অভিযোগ
হামলার ঘটনায় সামাদ নামে এক বৃদ্ধ গুরুতর আহত হন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আরও তিন-চারজন মুসল্লি মারধরের শিকার হন। হামলাকারীরা পরে ঈদগাহ মাঠেই নামাজ আদায় করেন, আর অন্যপক্ষ স্থানীয় মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েন। নামাজ শেষে হামলাকারীরা এক নারীকে মারধর করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর অভিযোগ করেন, স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি আওয়ামী লীগ নেতাদের ইন্ধনে নতুন কমিটি গঠন করায় এই বিরোধের সূত্রপাত। এর আগেও এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে, যুবলীগ নেতা সোলাই জাহান সোহাগ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কমিটি নিয়ে বিরোধের কারণে দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল আলম তরফদারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
পুলিশের প্রতিক্রিয়া
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক জানান, ঘটনার বিষয়ে তারা অবগত হয়েছেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।