close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ই স রা য়েলে ফা ত্তাহ-১ হাই পার'সনি'ক ক্ষে'পণা'স্ত্র ছুড়েছে ই'রা ন: আই আর জিসি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা চরমে! ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (IRGC) জানায়, তারা ইসরায়েলের দিকে ছুড়েছে ভয়ংকর ‘ফাত্তাহ-১’ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র—যা মাত্র ৪০০ সেকেন্ডে তেলআবিবে আঘাত হানতে সক্ষম। এই অস্ত্রক..

তেহরান থেকে তেলআবিব পর্যন্ত আতঙ্ক ছড়িয়ে দিল ইরান। ইসরায়েলের দিকে সরাসরি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে এবার ‘ফাত্তাহ-১’ অস্ত্রের ভয়ানক শক্তি প্রদর্শন করল ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, এই হামলা শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

সোমবার গভীর রাতে ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে যে, তারা ইসরায়েলের দিকে ফাত্তাহ-১ নামে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইরান বলছে, এটি কেবল একটি প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নয়—বরং একটি বার্তা: তেলআবিব আর নিরাপদ নয়।

আইআরজিসি’র মুখপাত্র জানিয়েছে, ‘ফাত্তাহ-১’ ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের সবচেয়ে উন্নত এবং অপ্রতিরোধ্য ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম। ২০২৩ সালে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রথম উন্মোচন করা হয় এবং এর নামকরণ করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ক্ষেপণাস্ত্রটি উদ্বোধনের সময় রাজধানী তেহরানে হিব্রু ভাষায় লেখা একটি ব্যানার টাঙানো হয়েছিল, যেখানে স্পষ্ট করে লেখা ছিল: “৪০০ সেকেন্ডে তেলআবিবে।”

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সময়োপযোগী ও কৌশলগত বার্তা ছিল ইসরায়েলের জন্য সরাসরি হুমকি।

এদিকে, ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর ইরান যখন একাধিক ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল, তখন থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে এই অস্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তবে এবার সম্ভবত এই প্রথমবার চলমান সংঘাতের প্রেক্ষিতে ফাত্তাহ-১ ব্যবহৃত হলো, যা প্রমাণ করে ইরান এই যুদ্ধকে আর গোপন রাখতে চায় না।

সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলো—এটি শব্দের চেয়ে ৫ গুণ বা তার বেশি গতিতে ছুটে যায়। এমন গতিতে ছোটা কোনো ক্ষেপণাস্ত্র বর্তমান আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য প্রায় প্রতিরোধের বাইরে।
ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্রটি শুধু দ্রুত নয়—এটি মাঝপথে দিক পরিবর্তন করতে পারে, যা লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত ও প্রতিহত করার প্রচলিত পদ্ধতিকে সম্পূর্ণ অকেজো করে তোলে।

যদিও আইআরজিসি একে ‘ইসরায়েল বিধ্বংসী’ অস্ত্র হিসেবে ঘোষণা করেছে, অনেক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক এখনো ক্ষেপণাস্ত্রটির প্রকৃত হাইপারসনিক ক্ষমতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন।
তাদের মতে, ইরানের এই দাবি কৌশলগত ভয় তৈরি করতেই হতে পারে, তবে বাস্তবতায় এর গতিপথ ও নির্ভুলতা এখনো নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত নয়।

ইরানের এই ঘোষণার পরপরই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মহলে আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জাতিসংঘসহ পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলকে কোনো বড় প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য করতে পারে, যা সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের ইঙ্গিত।

ইরানের ‘ফাত্তাহ-১’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা—যা শুধু যুদ্ধক্ষেত্র নয়, কূটনৈতিক মঞ্চেও বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে।
এই হামলা স্পষ্ট করছে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কেবল শুরু হয়েছে—শেষ নয়।

Комментариев нет