close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ই স রা য়ে লে র পরবর্তী টা র্গে ট পাকি স্তা নের পা র মা ণ বি ক প্রকল্প’..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানে অভিযানের পর এবার পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ইসরায়েলের সম্ভাব্য ‘টার্গেট’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী মেইর মাসরি। এমন মন্তব্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মহ..

মধ্যপ্রাচ্যের জটিল রাজনীতির মাঝে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াল ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রীর এক বিস্ফোরক মন্তব্য। তিনি দাবি করেছেন, ইরানে সামরিক অভিযান পরিচালনার পর ইসরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য হতে পারে পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনা। এ বক্তব্য তিনি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ (পূর্বতন টুইটার) এক পোস্টের মাধ্যমে।

এই মন্তব্যের পর আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে নড়েচড়ে বসেছে অনেকেই। কারণ, ইসরায়েল-পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই বললেই চলে, অথচ এই দুই দেশের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে এ ধরনের বক্তব্য নিঃসন্দেহে একটি বিপজ্জনক বার্তা বহন করে।

এদিকে কিছুদিন আগেই গুঞ্জন উঠেছিল, ইরান যদি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায়, তবে তার জবাবে পাকিস্তানও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পরমাণু প্রতিক্রিয়া দিতে পারে। যদিও এই দাবি সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি শুধুমাত্র আত্মরক্ষার জন্য এবং জাতীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হবে, আক্রমণাত্মক কোনো উদ্দেশ্যে নয়।

কিন্তু তার এই বক্তব্যের কিছুক্ষণ পরেই ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী মেইর মাসরির মন্তব্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নতুন এক উত্তেজনার জন্ম দেয়। বিশ্লেষকদের মতে, এটা একধরনের চাপ সৃষ্টি করার কৌশল—যার মাধ্যমে পাকিস্তানের পরমাণু সক্ষমতার ওপর মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি করা হতে পারে।

এই টানাপোড়েনের মাঝেই যুক্তরাষ্ট্রে ঘটে আরেকটি আলোচিত ঘটনা। হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত মধ্যাহ্নভোজ সভায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। সভায় দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা, শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।

ট্রাম্প বৈঠকের পরে মন্তব্য করেন, তিনি জেনারেল মুনিরের সাথে দেখা করে ‘সম্মানিত’ বোধ করছেন। পাশাপাশি পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে ধন্যবাদ জানান ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় শান্তির বার্তা বহনের জন্য।

উল্লেখ্য, গত মাসে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মাঝে নতুন করে যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হওয়ার উপক্রম হয়। তবে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের মধ্যস্থতায় উভয় দেশই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।

এই বৈঠক ঘিরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে এক অপ্রত্যাশিত প্রস্তাব। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র আনা কেলি জানান, জেনারেল আসিম মুনির মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ, তাঁর মতে ট্রাম্প দক্ষিণ এশিয়ায় পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের এমন হুমকিমূলক বক্তব্য, পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্বের যুক্তরাষ্ট্রে তৎপরতা, এবং এর সঙ্গে যুক্ত পরমাণু কূটনীতি—সব মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য নতুন এক অনিশ্চিত পথে হাঁটছে।

আন্তর্জাতিক সমাজকে এখন সচেতনভাবে এগোতে হবে—যাতে কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি ভবিষ্যতে ভয়াবহ সংঘাতের দিকে না নিয়ে যায়।

ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য নিছক ব্যক্তিগত মত নয়—বরং এটি একটি বার্তা, যা বহন করছে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পূর্বাভাস। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা এবং এশিয়ার পারমাণবিক রাজনীতির গতি—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এখন নজরদারির দাবিদার।

نظری یافت نشد


News Card Generator