close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ই রান-ইস রা য়েল উ ত্তে জনা নিয়ে উদ্বেগে মোদি, শান্তির আ হ্বান জানালেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত। শাপলা প্রতীক চেয়ে ইসিতে আবেদন করা এই দল এবার ৩০০ আসনে জয়ী হয়ে জাতীয় সরকার গঠনের প্রত্যয় ঘোষণা করেছে। নাসির উদ্দীন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে দলটি বলছে..

রাজনীতির মঞ্চে নতুন চমক এনেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সদ্য গঠিত এই রাজনৈতিক দল আজ রোববার (২২ জুন) নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে এই আবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী জানান, তারা দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা, কলম ও মোবাইল ফোন চেয়ে আবেদন করেছেন। এর মধ্যে শাপলাকে ‘জনগণের আত্মার প্রতীক’ হিসেবে বিবেচনা করে প্রধানত এটি চান তারা।

আমাদের প্রত্যাশা, নির্বাচন কমিশন শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেবে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি, তবে কোথাও বাধার মুখে পড়েছি, কোথাও আবার বাধা দিয়ে আমাদের অফিস খোলার সুযোগ দেওয়া হয়নি,” — বলেন পাটোয়ারী।

তিনি অভিযোগ করেন, এনসিপির কার্যক্রম শুরুর সময় থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ‘প্রতিহত করার চেষ্টা’ চালানো হয়েছে। দলের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করা, কমিটি ভেঙে দেওয়া এমনকি পদত্যাগে বাধ্য করার মতো ঘটনা ঘটেছে। এ থেকেই বোঝা যায় দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির বাস্তব চিত্র কতটা সংকটপূর্ণ।

নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী এ সময় এক অভাবনীয় ঘোষণা দেন।

আমরা যদি গণপরিষদের কাঠামো ও ৪০০ আসনের প্রস্তাব বাস্তবায়নের দিকে যাই, তবে তাতে ৩০০ আসনে এনসিপি জয়ী হবে—এটাই আমাদের বিশ্বাস। আমরা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করব।

তিনি দাবি করেন, দেশের জনগণ পরিবর্তন চায়। সেই পরিবর্তনের পথেই এনসিপি হেঁটেছে। তারা কারো অনুগত বা বিকল্প নয়, বরং একেবারে স্বতন্ত্র পথেই চলতে চায়। তাদের লক্ষ্য হল—গণঅভ্যুত্থানকে আইনি কাঠামোর মধ্যে এনে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে বাস্তবায়ন।

দলের সমন্বয়ক আরও বলেন, “যেভাবে এক সময় গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে মানুষ জেগে উঠেছিল, এবার তেমনি শাপলা প্রতীকের মাধ্যমে সেই জাগরণ হবে ব্যালটে। জনগণ ভোটের মাধ্যমে এবার নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে এবং এনসিপিকে জাতীয় সরকার গঠনের সুযোগ দেবে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন দল হিসেবে এনসিপির এমন উচ্চাকাঙ্ক্ষী ঘোষণা রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যেখানে প্রধান দলগুলো নানা জটিলতা ও বিভাজনে নিমজ্জিত, সেখানে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে গড়ে ওঠা এনসিপির দৃপ্ত উচ্চারণ ভোটারদের আগ্রহ বাড়াতে পারে।

তবে রাজনৈতিক বাস্তবতায় তাদের দাবির কতটুকু প্রতিফলন ঘটবে, তা সময়ই বলে দেবে। এখন মূল প্রশ্ন হচ্ছে—নিবন্ধন পায় কি না এনসিপি, আর পেলে আদৌ তারা নির্বাচনী ময়দানে কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে।

নতুন আশা, নতুন মুখ এবং নতুন বার্তা নিয়ে এগিয়ে আসা এনসিপি আগামী নির্বাচনে সত্যিকারের চমক হয়ে উঠতে পারে—যদি তারা জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারে। এখন সব দৃষ্টি নিবদ্ধ শাপলা প্রতীক বরাদ্দ ও নির্বাচন কমিশনের পরবর্তী সিদ্ধান্তে।

Nenhum comentário encontrado