close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ই রা নে র পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস না হওয়ার খবর আবারও নাকচ করলেন ট্রাম্প..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মার্কিন হামলার পরও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো অক্ষত—গোপন গোয়েন্দা রিপোর্টে চাঞ্চল্য। ট্রাম্প বলছেন সম্পূর্ণ ধ্বংস, কিন্তু বাস্তব বলছে অন্য কথা!..

বিশ্বজুড়ে যখন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা তুঙ্গে, তখন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার এক গোপন প্রাথমিক মূল্যায়নে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মার্কিন বিমান বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত আক্রমণের পরও ইরানের প্রধান পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর মূল অবকাঠামো অক্ষত রয়েছে।

এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে হোয়াইট হাউস। কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি দাবী করেছেন, “নিখুঁতভাবে” হামলা চালিয়ে ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্র সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্টের বক্তব্য অনুযায়ী, এটি ছিল ইতিহাসের অন্যতম “সফল সামরিক আঘাত।”

তবে বাস্তবতা উল্টো কিছু বলছে। সংবাদমাধ্যমগুলো এবং অভ্যন্তরীণ সূত্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ইরানের গোপন পারমাণবিক প্রকল্পের বেশিরভাগ অংশ সুরক্ষিত এবং আক্রমণের প্রভাব তুলনামূলকভাবে সীমিত ছিল।

এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন,আমরা নিখুঁতভাবে আঘাত হেনেছি। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা এখন ইতিহাস।

তবে এর আগে ও পরে, স্বতন্ত্র তদন্তকারী এবং সামরিক বিশ্লেষকেরা উপগ্রহ চিত্র ও অভ্যন্তরীণ সূত্র ব্যবহার করে দেখিয়েছেন, আঘাতের লক্ষ্যবস্তু ছিল মূলত কিছু বর্ধিত গবেষণা ল্যাব এবং বাহ্যিক নিরাপত্তা অবকাঠামো। প্রকৃত মূল স্থাপনার ক্ষতি হয়নি বললেই চলে।

এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংবাদমাধ্যমগুলোর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তিনি একাধিক টুইটে লিখেছেন,আমরা ইতিহাস গড়েছি, অথচ মিডিয়া এটিকে গুরুত্ব না দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের সামরিক প্রচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী সময় পার করছে, যেখানে এমন একটি "বিজয়" সংবাদ প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।

জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এখনো ইরানের স্থাপনাগুলোতে স্বাধীনভাবে পরিদর্শন করতে পারেনি। ইরানও এখনো সরকারিভাবে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইঙ্গিত দিয়েছে, হামলায় তেমন ক্ষতি হয়নি এবং প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার তারা সংরক্ষণ করে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বিশ্ব রাজনীতিতে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। যদি ইরান মনে করে তাদের আত্মরক্ষা ব্যর্থ হচ্ছে, তবে তাদের পরমাণু কর্মসূচি আরও গোপন ও আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে।

এই মুহূর্তে মার্কিন সরকার ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে পরিস্থিতিকে “বিজয়” হিসেবে তুলে ধরছেন, তা বাস্তবের চেয়ে অনেকটাই নাটকীয় বলে ধারণা করছেন অনেক পর্যবেক্ষক। গোয়েন্দা সংস্থার মূল্যায়ন এবং মিডিয়ার অনুসন্ধানে যে চিত্র উঠে আসছে, তা বড় প্রশ্ন তুলছে প্রেসিডেন্টের দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে।

Không có bình luận nào được tìm thấy