close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ই রা নে র দফায় দফায় হা ম লা , ই স রা য়ে ল জু ড়ে বি স্ফো র ণ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানের ভয়াবহ পাল্টা হামলায় কাঁপছে ইসরায়েল। বিস্ফোরণে কেঁপেছে জেরুজালেম, নিরাপদ আশ্রয়ে দৌড়েছেন সংসদ সদস্যরাও। নতুন সংঘাতের সূচনা?..

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আঘাতের প্রতিক্রিয়ায় ইরান একের পর এক পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহর ও সামরিক স্থাপনায়। সর্বশেষ ২৩ জুন পর্যন্ত, ইরান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’র আওতায় মোট ২১ দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলে। প্রতিবারই হামলা ছিল পরিকল্পিত, নিখুঁত ও কৌশলগতভাবে ভয়াবহ।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার দফায় দফায় হামলায় জেরুজালেম, আশদোদ, লাচিসসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় থাকলেও অনেক হামলা ছিল এতটাই দ্রুত ও চতুর, যে সাইরেন বাজার আগেই আঘাত হানে ক্ষেপণাস্ত্র।

বিশেষ করে, জেরুজালেমের নিকটে ইসরায়েলি সংসদ নেসেটে যখন হামলার সাইরেন বাজে, তখন নিরাপত্তার জন্য আইনপ্রণেতারা আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যান। টাইমস অব ইসরায়েলের রিপোর্টে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

ওয়াইনেট নিউজ এবং রয়টার্স জানায়, ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল দক্ষিণ ইসরায়েলের আশদোদ ও লাচিস শহরে আঘাত হেনেছে, যেখানে দেখা গেছে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি। বারবার এসব শহরে আঘাত হানায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো—গত ১০ দিনে ইরান কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর হাইফাতেও একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। এতে ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনা ও জ্বালানি অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আলজাজিরা আরও জানায়, ইরান সম্প্রতি একটি হামলায় এমনভাবে আকাশ প্রতিরক্ষাকে ফাঁকি দেয় যে সাইরেনই বাজেনি। পরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করে, এটি ছিল আসল ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র, কোনো ভুল করে ছোড়া প্রতিরক্ষা মিসাইল নয়।

এই পাল্টা প্রতিশোধের সূত্রপাত মূলত ১৩ জুন, যখন ইসরায়েল ইরানে এক বিধ্বংসী হামলা চালায়। সেই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় পারমাণবিক গবেষণাগার, সামরিক ঘাঁটি এবং আবাসিক এলাকা। নিহত হন ৪০০-এর বেশি মানুষ, যাদের মধ্যে ছিলেন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক।

ইরান এই ঘটনার পর পরই পাল্টা জবাব দেওয়ার ঘোষণা দেয় এবং কার্যকরভাবে ২১ দফা হামলা চালিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে—তারা আর পেছনে ফিরে দেখবে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আঘাত-প্রত্যাঘাতের রাজনীতি এক নতুন যুদ্ধাবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যকে।
বিশ্ব রাজনীতি তাকিয়ে আছে—কে আগে থামে, কে চূড়ান্ত হামলা চালায়।

कोई टिप्पणी नहीं मिली