close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ই রা নে মা র্কি ন হা ম লা র বিরুদ্ধে কি উ বা, চি লি, মে ক্সি কো ও ভে নে জু য়ে লা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানে মার্কিন হামলার বিরুদ্ধে কিউবা, চিলি, মেক্সিকো ও ভেনেজুয়েলা নিন্দা জানিয়েছে, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন ও বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি।..

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার পর বিশ্বব্যাপী নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশ এই হামলাকে তীব্র নিন্দা জানিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও মানবতার জন্য বিপজ্জনক হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছে। এই হামলা শুধু একটি সামরিক আক্রমণ নয়, বরং এটি বিশ্বশান্তির জন্য এক বিশাল সংকেত হিসেবে ধরা হচ্ছে।

কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াস-কানেল এই হামলাকে ‘বিপজ্জনক উসকানি’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এটি জাতিসংঘ সনদের সরাসরি লঙ্ঘন এবং মানবতাকে এমন এক সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যার ফলাফল হবে অপরিবর্তনীয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র যুদ্ধ নয়, এটি সারা বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য এক বড় হুমকি।

চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বরিচ তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন, চিলি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে ‘বেআইনি’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, কেবলমাত্র শক্তিশালী হওয়াটা যথেষ্ট নয়, মানবতার নীতিমালা মেনে কাজ করাটাই গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইন ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য বিপজ্জনক।

মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, তাদের দেশ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ওপর বিশ্বাসী এবং অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানাচ্ছে। মেক্সিকো এই ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপকে গ্রহণযোগ্য মনে করছে না এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে সুরক্ষা জোর দিচ্ছে।

ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান গিল টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলা চালিয়েছে ইসরাইলের অনুরোধে এবং এই হামলার বিরুদ্ধে তারা দৃঢ় ও পরিষ্কার নিন্দা জানাচ্ছে। তিনি বলেন, অবিলম্বে সকল শত্রুতার অবসান দাবি করা প্রয়োজন, যা এই অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক আইনের স্বার্থে একমাত্র যুক্তিসঙ্গত পথ।

এই লাতিন আমেরিকার দেশগুলো স্পষ্টতই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের যৌথ সামরিক পদক্ষেপকে অগ্রহণযোগ্য মনে করছে এবং তারা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সমাধানের দাবি করছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি এই দেশগুলোর বার্তা স্পষ্ট — শান্তি প্রতিষ্ঠা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই, এবং আন্তর্জাতিক আইনের সম্মান বজায় রাখতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা ইরান ও লাতিন আমেরিকার মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা তীব্র করলেও বিশ্বশান্তির পক্ষে এটি আশঙ্কাজনক সংকেত। লাতিন আমেরিকার দেশগুলো আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

No comments found