বুধবার (১৮ জুন) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা KCNA-তে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন,
“ইসরায়েল ইরানের সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন করেছে। তাদের সামরিক আগ্রাসন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি সরাসরি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।”
তিনি আরও বলেন, “ইরানে বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্যবস্তু করে হত্যা করা হয়েছে—এটি আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়ের চূড়ান্ত অবমাননা।”
বিবৃতিতে আরও উদ্বেগ প্রকাশ করে জানানো হয়,
“এই জঙ্গি হামলার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যকে নতুন এক সর্বাত্মক যুদ্ধে ঠেলে দেওয়ার পথ তৈরি করেছে ইসরায়েল। এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ হুমকি।”
উত্তর কোরিয়ার মতে, ইসরায়েল বর্তমানে শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যের জন্য নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের জন্য “একটি ক্যান্সারসদৃশ অস্তিত্ব” হয়ে দাঁড়িয়েছে।
🇺🇸 কার পৃষ্ঠপোষকতায় এতটা আগ্রাসন?
উত্তর কোরিয়া প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তিগুলোকেও একহাত নিয়ে বলেছে—
“ইসরায়েলের এই দানবীয় কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থনের মাধ্যমে। এই নীতিহীন পৃষ্ঠপোষকতাই আজকের বিশ্বকে ধ্বংসের কিনারায় এনে দাঁড় করিয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ধারাবাহিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরানের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়। লক্ষ্য ছিল পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র, সামরিক ঘাঁটি, এমনকি আবাসিক এলাকা। এই বর্বর হামলায় মারা গেছেন বহু সাধারণ মানুষ, আহত হয়েছেন শত শত।
এই ঘটনার পর প্রতিশোধ নিতে দ্বিধা করেনি ইরান। একের পর এক পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের তেল শোধনাগার, বন্দর এবং বিভিন্ন অবকাঠামো চুরমার করে দিচ্ছে তারা।
এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ টানা ছয় দিন ধরে চলছে। দুই দেশের মধ্যকার যুদ্ধাবস্থা শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বকেই এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি করে তুলেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার এই বিবৃতি শুধু একটি প্রতিবাদ নয়, বরং একটি বৈশ্বিক হুঁশিয়ারি। যখন পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস চরমে, তখন একটি আগুন লাগা অঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক খেলোয়াড়ের বক্তব্য নতুন করে উত্তেজনার সঞ্চার করতে পারে।



















