close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ই রা ন কোথায় পা ল্টা আ ঘা ত হানতে পারে,

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরান তার প্রক্সি বাহিনীর মাধ্যমে ইরাক, জর্ডান ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাবেক মার্কিন নিরাপত্তা সমন্বয়কারী মার্ক শুয়ার্টজ।..

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের উত্তেজনা দিনদিন বাড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইরানকে কিভাবে মোকাবেলা করা হবে, সেই বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের মধ্যে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, ইরাকে, জর্ডানে ও সিরিয়ায় অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তীব্র হচ্ছে।

বিবিসিকে সাক্ষাৎকারে মার্ক সি. শুয়ার্টজ, যিনি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন বিষয়ক সাবেক মার্কিন নিরাপত্তা সমন্বয়কারী, জানান, “ইরান কোনো না কোনোভাবে পাল্টা জবাব দেবে। এটা কীভাবে হবে তা বলা কঠিন।” তাঁর মতে, ইরানের প্রক্সি বাহিনী মূল হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে এবং এসব বাহিনী মাধ্যমে ইরান দূর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নীতি ব্যাহত করতে পারে।

শুয়ার্টজ বলেন, “ইরাকে, জর্ডানে এবং সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনী সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, বাহরাইন বা কুয়েতের তুলনায়।” এসব এলাকায় ইরানের প্রভাব বিস্তারকারী প্রক্সি গোষ্ঠী যেমন কাতাইব হেজবুল্লাহ, ইরাক ভিত্তিক ইরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া, এবং ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা সক্রিয়।

২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র কাতাইব হেজবুল্লাহকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এই গোষ্ঠীকে ইরান শক্তিশালী করে রেখেছে এবং তারা ইরানের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়াকে জবাব দিতে প্রস্তুত।

শুয়ার্টজ আরও বলেন, “ইরানে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সামরিক টার্গেটের অভাব নেই। তাদের ওপর হামলা হলে তারা পাল্টা জবাব দিতে পারে।” তবে, তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, উত্তেজনা কমাতে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।

এখন প্রশ্ন উঠছে, মার্কিন সামরিক বাহিনী কীভাবে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবে? এবং কিভাবে ইরানের পাল্টা হামলা প্রতিহত করা যাবে? আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে এই উত্তেজনার প্রভাব আগামী দিনে আরো বিস্তৃত হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল ও ইরানের প্রতিক্রিয়া বিশ্ব রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবশালী বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিস্তারিত বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, ইরানের প্রক্সি বাহিনীগুলোর অস্তিত্ব এবং কার্যক্রমের উপর নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো শক্তিশালী করতে নানা ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে সরাসরি যুদ্ধের ঝুঁকি প্রবল হওয়ায় কূটনৈতিক সমাধানের পথও খোঁজার চেষ্টা চলছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বাহিনীর প্রস্তুতি বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রকে বহুস্তরীয় কৌশল নিতে হবে। শুধুমাত্র সামরিক পদক্ষেপ নয়, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উদ্যোগও সমান জরুরি।

এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি একদমই অস্থিতিশীল। যে কোনো মূহুর্তে পরিস্থিতি তীব্র আকার নিতে পারে, যার প্রভাব পুরো অঞ্চলে পড়বে।

তাই এখন বিশ্ববাসীর দৃষ্টি নিবদ্ধ ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার দিকে, যেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সবাই আশা করছেন দ্রুত সংলাপ শুরু হবে এবং টানাপোড়েনের অবসান ঘটবে।
ইরানের পাল্টা হামলার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক, জর্ডান ও সিরিয়ায় অবস্থানরত বাহিনী সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। কাতাইব হেজবুল্লাহসহ ইরানের প্রক্সি বাহিনী শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, যার ফলে সামরিক ও কূটনৈতিক দুই দিক থেকেই নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য আলোচনার দরকার, বলছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

कोई टिप्पणी नहीं मिली