close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ই রা ন-ই স রা য়ে ল 'যু দ্ধ বিরতিতে ভূমিকা', ট্রা ম্পের নাম প্রস্তাব নোবেল শান্তির জন্য..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ থামাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য ট্রাম্পের নাম পাঠানো হয়েছে নোবেল শান্তি পুরস্কারে। মার্কিন কংগ্রেস সদস্যের মতে, এটি বিশ্বশান্তিতে ট্রাম্পের ‘অবিশ্বাস্য সাফল্য’।..

বিশ্ব রাজনীতিতে আবারও নজর কাড়লেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যের ভয়াবহ উত্তেজনা যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নিতে চলেছিল, ঠিক তখনই নাটকীয়ভাবে হস্তক্ষেপ করে যুদ্ধ থামালেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট। এই অসাধারণ কূটনৈতিক সাফল্যের ফলেই এবার তাঁর নাম নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব করা হয়েছে।

মার্কিন কংগ্রেসের প্রভাবশালী প্রতিনিধি বাডি কার্টার মঙ্গলবার (২৪ জুন) নরওয়ের নোবেল কমিটির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম মনোনয়নের অনুরোধ জানান। চিঠিতে তিনি বলেন—ডোনাল্ড ট্রাম্পের সক্রিয় ও দৃঢ় কূটনৈতিক তৎপরতার কারণেই ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধ আশ্চর্যজনকভাবে দ্রুত থেমে যায়। এমন একটি চিত্র কয়েকদিন আগেও কেউ কল্পনা করেনি।

এই প্রস্তাব আসার পেছনে রয়েছে একটি বড় কারণ। ২৪ জুন সকালে কার্যকর হয় এক পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি, যা ট্রাম্প নিজেই সোমবার মধ্যরাতে প্রকাশ্যে আনেন। তাঁর মতে,এই যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে। ইরান ও ইসরায়েল দু’পক্ষই শান্তি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।

এই ঘোষণার পরপরই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব লীগ এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলো ট্রাম্পের এই কূটনৈতিক পদক্ষেপকে "একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ" বলে অভিহিত করেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ যদি পূর্ণমাত্রায় ছড়িয়ে পড়ত, তাহলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য জ্বলে উঠত এবং তা বিশ্বের জ্বালানি নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক ভারসাম্যকে গুরুতরভাবে প্রভাবিত করত। এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের দ্রুত এবং কৌশলী হস্তক্ষেপ বিশ্বরাজনীতিতে তাঁর দক্ষতার আরেকটি প্রমাণ।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা গেছে, তাঁর এই পদক্ষেপ কেবল মার্কিন স্বার্থ নয়, বরং বিশ্বশান্তির এক ঐতিহাসিক নজির। আর সে কারণেই তাঁর নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনয়ন এবার আগের চেয়ে অনেক বেশি বাস্তবসম্মত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

অনেকেই বলছেন, ট্রাম্পের এই শান্তি প্রক্রিয়া হয়তো ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতির একটি কৌশল হতে পারে। তবে রাজনীতি যতই থাকুক, বাস্তবতা হলো— একটি যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর নেতৃত্বে। এবং সেই বাস্তবতা আজ বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘিরে বিতর্ক বরাবরই থেকেছে, তবে এবার তিনি যে শান্তির দূত হিসেবে একটি ভয়ঙ্কর যুদ্ধের ইতি টেনেছেন, তা ইতিহাসের পাতায় আলাদা গুরুত্ব পাবে। এখন দেখার বিষয়— নোবেল কমিটি এই পদক্ষেপকে কীভাবে মূল্যায়ন করে।

לא נמצאו הערות


News Card Generator