নিউজ ডেক্সঃ
বরগুনার বেতাগী উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সিনিয়র প্রভাষক মোশাররফ হোসেন লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা পিজি হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন। বাঁচতে হলে করতে হবে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট। অর্থের অভাবে যেখানে নিয়মিত চিকিৎসা সেবাই জুটছে না তার সেখানে লাখ টাকা দিয়ে কিভাবে করাবেন লিভার ট্রান্সপ্লান্ট। দিনে দিনে শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। নিজের এমন দুরবস্থায় খোলা চিঠি লিখেও জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নজর কাড়তে পারেননি তিনি। যে দলটির জন্য জেল খেটেছেন সেই দলই যখন হতাশায় ডোবাচ্ছে তাকে, তাহলে পাশে দাঁড়াবে কে?
নিজের জীবনের এমন প্রান্তে এসে বিএনপি নেতা মোশাররফ বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই জাতীয়তাবাদী আদর্শে রাজনীতি করে আসছি।
আন্দোলন সংগ্রামে সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত থেকে বেতাগী উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে পদে আসীন থেকে অধ্যাবদি জাতীয়তাবাদী শক্তি সমর্থনে কাজ করেছি। ফ্যাসিস্ট সরকারের ২০১৮ সালের নির্বাচনের পূ্র্বে গায়েবী মামলার আসামী হয়ে প্রায় ১ মাস কারাবরন করি। হাইকোর্ট থেকে স্হায়ী জামিন এনে আজ পর্যন্ত মামলায় ঝুলতে হচ্ছে। এর মধ্যেই যখন সরকার পতনের আনন্দে সবাই সুস্থ জীবন পার করছে ঠিক তখন লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছি। মাসে প্রায় ৬০,০০০ টাকা প্রয়োজন হয় নিজেকে বাচিয়ে রাখতে। বিভিন্ন পরিচিতরা ও সামাজিক সংগঠনের দেওয়া সাহায্যে কোনোরকম ঔষধ কিনে খাচ্ছি। ডাক্তার বলেছেন লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে। বাংলাদেশে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট চিকিৎসা নেই তাই ডাক্তার আমাকে দেশের বাহিরে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু এই চিকিৎসা আমার মতন বেসরকারি শিক্ষাকর্মীর পক্ষে সম্ভব নয় যদি শিক্ষকমন্ডলীরা এবং জাতীয়তাবাদী শক্তি কেন্দ্র থেকে তৃনমূল পর্যন্ত হাত বাড়িয়ে না দেয়।
যে দল করতে নিজের আনন্দ উল্লাস ত্যাগ করে জেলে গিয়েছি সেই দল যদি পাশে দাড়ায় তাহলে হয়তো আমি লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করাতে পারবো। আমি বাঁচতে চাই আপনারা আমাকে বাচান। আমি
সুস্থ হয়ে আবার জাতীয়তাবাদীর স্লোগান তুলতে চাই কন্ঠে। শিক্ষক সংগঠনের প্রতি অনুরোধ আমার পাশে দাড়ান। আপনারা পাশে না দাঁড়ালে কে দাড়াবে?



















