close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

হাসিনার পতনের পর কী চাই? ছাত্র-জনতার সংস্কার দাবি ও রাজনৈতিক বাস্তবতার সংঘর্ষ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাম্প্রতিক পরিবর্তন ও হাসিনার পতন নিয়ে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে শিক্ষার্থী-সমাজ, রাজনৈতিক শক্তি, এবং অন্তর্বর্তী সরকার এখন একসঙ্গে
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাম্প্রতিক পরিবর্তন ও হাসিনার পতন নিয়ে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে শিক্ষার্থী-সমাজ, রাজনৈতিক শক্তি, এবং অন্তর্বর্তী সরকার এখন একসঙ্গে একই লক্ষ্যে কাজ করছে বলে মনে হয় না। শিক্ষার্থীরা শুধু নির্বাচন নয়, বরং রাষ্ট্রের বড় ধরনের সংস্কার চায়। তাদের বিশ্বাস, একটি নতুন নির্বাচন আয়োজনের জন্য এত প্রাণের বিনিময় হয়নি। তাদের দাবি, এমন একটি রাষ্ট্রকাঠামো তৈরি করতে হবে, যেখানে ভবিষ্যতে আর কেউ স্বৈরশাসক হতে না পারে। সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়টি শিক্ষার্থীদের কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচন চায় এবং নির্বাচিত সরকারের ওপর সংস্কারের দায়িত্ব দিতে চায়। ১৬ ডিসেম্বরের ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন নিয়ে একটি সম্ভাব্য সময়সীমার কথা বলেন। তিনি বলেন, "২০২৫ সালের শেষ বা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে," তবে এর সঙ্গে সংস্কার প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের দাবি, নির্বাচনের আগে সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে। তারা মনে করে, পুরনো সংসদ গঠন করলে সংবিধান সংস্কার বা নতুন সংবিধান তৈরির প্রতিশ্রুতির ওপর আস্থা রাখা কঠিন। এদিকে বিএনপি ইউনূসের ঘোষণায় হতাশা প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, রোডম্যাপের অভাব জাতিকে হতাশ করছে। বিএনপির মতে, নির্বাচনই প্রথম সংস্কার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ। গণ-অভ্যুত্থানের পর, পুরোনো ব্যবস্থায় ফেরার ভয়, চাঁদাবাজি, এবং কর্তৃত্ববাদী আচরণের আশঙ্কা এখনো ছাত্র-জনতার মনে গভীর দাগ কেটে আছে। তবে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে পুরনো সমস্যাগুলোর পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে—হাসিনার পতনই কি চূড়ান্ত জয়, নাকি শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের স্বপ্নপূরণের জন্য আরও অনেক কাজ বাকি?
コメントがありません