close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

হাসিনার ঘনিষ্ঠরাই অন্তর্বর্তী প্রশাসনের আস্থাভাজন!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
স্বৈরাচারী সরকারের পতনের ৮ মাস পার হলেও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে এখনো বহাল রয়েছে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা। প্রধান উপদেষ্টার দফতরে রয়েছেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। সচিব পদে পদোন্নতির জন্য আও..

স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের ৮ মাস অতিক্রম হলেও প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে এখনো শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের প্রভাব অটুট। বিশেষ করে মাঠ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এখনো কর্মরত রয়েছেন হাসিনার আস্থাভাজন চারজন জেলা প্রশাসক। এছাড়াও, প্রধান উপদেষ্টার দফতরে রয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্রলীগের সাবেক নেতা, যিনি সম্প্রতি যুগ্মসচিব পদোন্নতিও পেয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে বহাল ৪ জেলা প্রশাসক

সরকার পরিবর্তনের পরেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ অনুবিভাগে দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন জেলা প্রশাসক। অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম, যিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা, এখনো মাঠ প্রশাসনের দায়িত্বে রয়েছেন। নীলফামারীর জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তিনি।

অন্যদিকে, যুগ্মসচিব হিসেবে মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, যিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২২ ব্যাচের কর্মকর্তা, এখনো গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রয়েছেন। তিনি নোয়াখালী জেলা প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এবং হাসিনার ঘনিষ্ঠদের একজন হিসেবে পরিচিত।

প্রধান উপদেষ্টার দফতরে ছাত্রলীগ নেতা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দফতরে এখনো রয়েছেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এ কে এম ফজলুর রহমান। বিসিএস গণপূর্ত ক্যাডারের ২১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা ২০২০ সালের ৫ জুলাই শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে পদায়ন হন এবং এখনো বহাল রয়েছেন। এর আগে তিনি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছেন।

সচিব হওয়ার দৌড়ে আওয়ামী সুবিধাভোগীরা

বর্তমানে সচিব হওয়ার জন্য জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনার সুবিধাভোগী অতিরিক্ত সচিবরা। বিশেষ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা মো: তোফাজ্জেল হোসেন এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মফিদুর রহমান সচিব পদে উন্নীত হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

জনপ্রশাসনের একাধিক সূত্র বলছে, স্বৈরাচারী সরকারের সময় ক্ষমতাধর ছিলেন এমন কর্মকর্তারা এখনো প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছেন। নতুন প্রশাসন বদলির উদ্যোগ নিলেও তারা বিভিন্ন উপদেষ্টার মাধ্যমে লবিং করে নিজেদের জায়গা অটুট রাখছেন।

জনপ্রশাসনের হতাশা ও প্রতিক্রিয়া

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনপ্রশাসনের অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিরীহ কর্মকর্তাদের বদলি করে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের বহাল তবিয়তে রেখে প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তারা বলছেন, নতুন সরকারের উচিত প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে পরিবর্তন আনা এবং যোগ্য ও নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান করা।

শেষ কথা: প্রশাসনের ভেতরে এখনো আগের সরকারের প্রভাব রয়েছে এবং তা পরিবর্তন না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাবে।

コメントがありません