হামজা চৌধুরী দেশে ফিরলেন: ফুটবল ইতিহাসের নতুন দিগন্তে বাংলাদেশের হয়ে খেলার প্রস্তুতি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সিলেট বিমানবন্দরে উদযাপনের মেজাজ, হামজা চৌধুরীর দেশে ফিরে আসা

অবশেষে দেশবাসীকে সুখবর দিলেন ইংল্যান্ডে খেলা ফুটবল তারকা হামজা চৌধুরী। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ, ৮ মার্চ, সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতি..

হামজার এই আগমন বাংলাদেশের ফুটবল প্রেমীদের জন্য এক বিশাল উপলক্ষ। গত ডিসেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে খেলার অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই এই সংবাদ ঘিরে সৃষ্টি হয়েছিল ব্যাপক উত্তেজনা। ভারতীয় ম্যাচের জন্য কোচ হাভিয়ের কাবরেরা তাকে প্রাথমিক স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করায়, এখন হামজার চূড়ান্ত স্কোয়াডে থাকা একপ্রকার নিশ্চিত।

বাংলাদেশে ফিরলেন হামজা, যা যা ঘটেছে এখন পর্যন্ত

ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের শেফিল্ড ইউনাইটেড ক্লাবের হয়ে খেলা হামজা, বাংলাদেশ বিমানের ম্যানচেস্টার থেকে সিলেট ফ্লাইটে রওনা দেন রাত দু’টায়। দীর্ঘ যাত্রার পর আজ সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেট পৌঁছান তিনি। এরপর সিলেট থেকে তার নিজ গ্রাম হবিগঞ্জের স্নানঘাটে রওনা হন।

এয়ারপোর্টে হামজাকে বরণ করতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ৭ সদস্যের একটি দল উপস্থিত ছিল। হামজার বাবা, মোরশেদ দেওয়ান চৌধুরীও তার সঙ্গে ছিলেন। সিলেট বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করছিলেন ক্রীড়ানুরাগী এবং ক্ষুদে ফুটবলাররা। সিলেটের রাস্তা ও তার গ্রামের বাড়িতে সাজানো হয়েছিল তোরণ। তবে সিলেটে কোনও কর্মসূচি না থাকলেও হবিগঞ্জের বাহুবলে তার জন্য একটি বিশেষ সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে।

নিরাপত্তায় কোনো খামতি নেই, হামজাকে সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে

হামজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিলেট পুলিশ প্রশাসন পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, হামজাকে নিরাপত্তা দিয়ে শহর পার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইভাবে, জেলা পুলিশও সড়ক নিরাপত্তা প্রদান করবে।

গ্রামে ফিরেই বাড়ির সঙ্গে ভালোবাসা ভাগাভাগি

সিলেটের স্নানঘাট গ্রামের পুরো এলাকা সাজানো হয়েছে হামজার অভ্যর্থনা জানিয়ে। গ্রামের মানুষ তার আগমনে আনন্দিত। হামজা তার ছোটবেলা থেকেই গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। তার গ্রামের বাড়িতে গড়ে তুলেছেন একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা, যেখানে এতিম শিশুরা পড়াশোনা করছে।

বাড়ির খাবার এবং গ্রামের মানুষদের জন্য ভালোবাসা

হামজার প্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে ভাত ও গরুর মাংস, এবং দেশি সবজি। তিনি তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছিলেন, বাড়িতে বেশ কয়েক ধরনের মাংস পরিবেশন করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, হামজা যখন ছোট ছিলেন, তখন তিনি সবার সাথে ফুটবল খেলতেন, এবং তার ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা সেই সময় থেকেই ছিল।

অভিষেকের আগে ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি

আগামীকাল হামজা ঢাকায় আসতে পারেন এবং এরপর জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেবেন। ২৫ মার্চ, ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দেশের হয়ে মাঠে নামবেন তিনি। ২০ মার্চ বাংলাদেশ দল শিলংয়ের পথে রওনা দেবে, আর ১৮ মার্চ কোচ কাবরেরা সংবাদ সম্মেলনে হামজাকে এবং অধিনায়ককে হাজির করবেন।

হামজার এই আগমন বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে একটি নতুন যুগের সূচনা হতে পারে, যা দেশের তরুণ ফুটবলপ্রেমীদের কাছে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।

Tidak ada komentar yang ditemukan