close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

হালুয়াঘাটে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন প্রশাসক আশিকুল ইসলাম..

Md Ubaydullah Rume avatar   
Md Ubaydullah Rume
তরিকুল্লাহ আশরাফী, হালুয়াঘাট:

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে আলাদা একটি জায়গা করে নিয়েছেন হালুয়াঘাট সদর ইউনিয়নের প্রশাসক ও উপজেলা আইসিটি অফিসার মোঃ আশিকুল ইসলাম। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি ইউনিয়ন পরিষদকে জনগণের জন্য একটি কার্যকর ও মানবিক সেবাকেন্দ্রে রূপান্তর করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

সকাল থেকে সন্ধ্যাসড়কপথ হোক কিংবা গ্রামের অন্দরের পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজার কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবখানেই দেখা মেলে এই কর্মঠ প্রশাসকের। নিজ হাতে খোঁজ নিচ্ছেন রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা এবং সামাজিক নানা সমস্যা।

সবচেয়ে প্রশংসনীয় বিষয় হচ্ছে, গরীব, অসহায় ও অস্বচ্ছল মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারি সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি নিজেই।

সদর ইউনিয়নের কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এত আগে এমন জনবান্ধব প্রশাসক তাঁরা আগে কখনো দেখেননি। একজন চেয়ারম্যান বা প্রশাসককে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সহায়তা পৌঁছে দিতে তাঁরা এর আগে কখনো দেখেননি। একজন মন্তব্য করেন, "মোঃ আশিকুল ইসলাম স্যার শুধু প্রশাসক নন, তিনি আমাদের অভিভাবক হয়ে উঠেছেন।"

এ বিষয়ে মোঃ আশিকুল ইসলাম বলেন, “সরকার আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, আমি সেটিকে আন্তরিকভাবে পালন করার চেষ্টা করছি। যতদিন দায়িত্বে থাকবো, সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাবো।”

উল্লেখ্য, হালুয়াঘাট উপজেলায় মোট ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। ২০১৪ সালে পৌরসভা গঠনের সময় সদর ও কৈচাপুর ইউনিয়নের কিছু অংশ পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়। পরবর্তীতে সীমানা জটিলতার কারণে ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে সদর ও কৈচাপুর ইউনিয়নে নির্বাচন স্থগিত হয়। ২০১৮ সালে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ থেকে সালেহ আহম্মেদ পদত্যাগ করলে প্রশাসনিক শূন্যতা দেখা দেয়। এরপর ৫ আগস্ট সদরের পরিষদ বিলুপ্ত করে উপজেলা আইসিটি অফিসার মোঃ আশিকুল ইসলামকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেন জেলা প্রশাসক।

দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তিনি প্রমাণ করেছেন মানবিকতা, সেবার মনোভাব ও নিষ্ঠা থাকলে একজন প্রশাসকও হতে পারেন মানুষের ভরসার আশ্রয়। হালুয়াঘাট সদর ইউনিয়নের মানুষ আজ তাই বলছে, “প্রশাসক নয়, তিনি আমাদের আপনজন।”

कोई टिप्पणी नहीं मिली