close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

হা ম লা য় কয়টি ক্ষে প ণা স্ত্র ব্যবহার করেছে জানাল ই রা ন

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পাল্টা জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের কাতার ঘাঁটিতে সমান সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইরান, জানালো দেশটির নিরাপত্তা পরিষদ।..

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার জবাবে দেশটি যে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল তেহরান। এবার সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রূপ নিল।
রবিবার রাতে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কোর (IRGC) কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে এক ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই অভিযানের নাম ছিল—“বিজয়ের প্রতিশ্রুতি”।

সোমবার সন্ধ্যায় ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (SNSC) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে ঠিক সমান সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে, যতগুলো বোমা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালিয়েছিল ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায়।

বিবৃতিতে পরিষদ জানায়,ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণাত্মক, অবিবেচক এবং নির্লজ্জ আচরণের জবাবে ইরানের শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী আল-উদেইদ ঘাঁটিকে কয়েক ঘণ্টা আগে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে।

তারা আরও জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো লক্ষ্যবস্তু করেছিল এমন জায়গাকে, যা কাতারের বসতি অঞ্চল এবং শহরের কেন্দ্র থেকে বহু দূরে অবস্থিত। এর মাধ্যমে ইরান নিশ্চিত করতে চেয়েছে যেন কাতারের নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক বা ক্ষয়ক্ষতি না ঘটে।

পরিষদ জানায়,আমাদের এই পদক্ষেপ কাতারের জনগণ বা সরকারকে কোনোভাবে হুমকি দেয় না। ইরান সবসময় কাতারকে একটি ভ্রাতৃপ্রতিম, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ দেশ হিসেবে দেখে এসেছে। আমরা এই সম্পর্ক অটুট রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এই হামলার মূল বার্তা ছিল পরিষ্কার—যে ভাষায় আঘাত আসবে, ইরান সেই ভাষায়ই জবাব দেবে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরান এই বার্তাটিই দিতে চেয়েছে যে, তাদের কৌশলগত ও সামরিক সক্ষমতা কেবল প্রতিরক্ষা নয়, পাল্টা আঘাত দিতেও সক্ষম।

স্মরণযোগ্য যে, একদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছিল।
এটি ইরানের জন্য ছিল এক বড় রকমের চ্যালেঞ্জ এবং তারা যে দ্রুত জবাব দিতে প্রস্তুত—তা এই পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমেই প্রমাণ করল।

এই হামলার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ বেড়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরণের সামরিক উত্তেজনা বড় ধরনের সংঘর্ষের রূপ নিতে পারে যদি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ না আসে। তবে ইরানের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, তারা কোনো যুদ্ধ চায় না—তবে আত্মরক্ষায় পিছপা হবে না।

পর্যবেক্ষকরা এটাও বলছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যার ‘সমতা’ বজায় রেখে ইরান কৌশলগতভাবে একটি বার্তা দিতে চেয়েছে—আমরা প্রতিরক্ষার পাশাপাশি প্রত্যাঘাতেও সমানভাবে সক্ষম।

এখন বিশ্ব অপেক্ষা করছে ওয়াশিংটনের পরবর্তী প্রতিক্রিয়ার। ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের এই নতুন মোড় যে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে বড় রকমের পরিবর্তন আনবে, তাতে সন্দেহ নেই।

לא נמצאו הערות