close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

গুলিস্তানে মিছিলের চেষ্টা, আটক আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মী..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাজধানীর গুলিস্তানে আকস্মিক মিছিলের মাধ্যমে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টায় নেমেছিলেন নিষিদ্ধ কার্যক্রমে যুক্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। গোয়েন্দা পুলিশের দ্রুত অভিযানে আটক হন ১১ জন। জানা যাচ্ছে, এর প..

গুলিস্তানে ঝটিকা মিছিলে উত্তেজনা, ডিবির জালে আটক ১১ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী

রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম এবং রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর এলাকা গুলিস্তান রোববার দুপুরে অপ্রত্যাশিত উত্তেজনার মুখোমুখি হয়। হঠাৎ করেই সড়কে নেমে আসে একদল রাজনৈতিক কর্মী। দাবি ও স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে চারদিক। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগেই নেমে আসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ।

১৮ মে, রোববার দুপুরে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের একদল নেতাকর্মী হঠাৎ করে ঝটিকা মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। এই সময় রাজধানীজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়। তবে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তাৎক্ষণিক অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় ১১ জন নেতাকর্মীকে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, “গুলিস্তান এলাকায় অনুমতি ছাড়া মিছিল বের করার চেষ্টা চলাকালে আওয়ামী লীগের ১১ জন নেতাকর্মীকে আমরা আটক করেছি। তারা বর্তমানে গোয়েন্দা হেফাজতে রয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”

কারা এই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন?

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতরা বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তাদের বিরুদ্ধে আগেও কিছু অভিযোগ ছিল, যার মধ্যে রয়েছে সংগঠনের সিদ্ধান্ত না মেনে উসকানিমূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই মিছিল ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং এর পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন থাকতে পারে।

রাজনৈতিক উত্তেজনার ইঙ্গিত?

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে, এই মিছিল ছিল তারই প্রতিফলন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চাপা উত্তেজনা এবং ক্ষমতার বলয়ে পুনর্গঠনের সম্ভাবনা থেকেই এমন আকস্মিক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের অবস্থানে অনড়, কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না বলেই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ডিবির তৎপরতায় প্রশংসা

দ্রুত সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মিছিলকারীদের আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রশংসা করেছেন এলাকাবাসী। একজন পথচারী বলেন, “এই রকম ঝটিকা মিছিল থেকে অনেক সময় বড় ধরণের বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। পুলিশ যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নিত, তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারত।”

পরবর্তী পদক্ষেপ কী?

আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ডিবি। যদি প্রমাণিত হয়, তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিসি তালেবুর রহমান বলেন, “আমরা ভিডিও ফুটেজ, স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য এবং মিছিলের পরিকল্পনার পেছনে কারা ছিল তা তদন্ত করছি। কেউ ছাড় পাবে না।”


 

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গুলিস্তানে যে ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল, তা সফলভাবে প্রতিহত করেছে ডিবি। তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ কার্যক্রমে জড়িত এই নেতাকর্মীরা কি শুধুই নিচের স্তরের কর্মী, নাকি এর পেছনে রয়েছে উপরের মহলের ইন্ধন? সেই উত্তর খুঁজছে গোয়েন্দারা।

Tidak ada komentar yang ditemukan