গত ২৪ ঘণ্টায় ই রা নে র মি সা ইলগুলোর মাত্র ৬৫% ই সরা য়ে লের আ য়রন ডো ম প্রতিহত করতে পেরেছে..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ইরানের ছোড়া মিসাইলের ৩৫% আয়রন ডোম ভেদ করে ইসরায়েলে আঘাত হেনেছে! আগের দিনের তুলনায় প্রতিরক্ষার এই বিপর্যয় ইসরায়েলি গোয়েন্দা মহলে চরম উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।..

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গর্ব ‘আয়রন ডোম’ কি তাহলে দুর্বল হয়ে পড়ছে? গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানের ছোড়া অগণিত মিসাইলের কেবল ৬৫ শতাংশ প্রতিহত করতে পেরেছে ইসরায়েলের এই সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। অথচ মাত্র একদিন আগেও এই প্রতিরোধের হার ছিল ৯০ শতাংশ! মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের এক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তার এই স্বীকারোক্তি নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

এই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, ইরান এখন ব্যবহার করছে আরও উন্নত, গতিশীল ও সুনির্দিষ্টভাবে লক্ষ্যভেদী মিসাইল। যার কারণে আক্রমণের প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং জনগণকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সময় পাচ্ছে অনেক কম।

“আগে আমরা মিসাইল আঘাত করার ১০-১১ মিনিট আগে সতর্ক সংকেত পেতাম। কিন্তু আজ সকালেই সময়টা নেমে এসেছে মাত্র ৬-৭ মিনিটে। এর মানে, মিসাইলগুলো আগের চেয়ে **অধিক দ্রুত ও কৌশলগতভাবে লক্ষ্যভেদী।” — বলেছেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে আরও জানানো হয়, ইরান এখন তাদের মিসাইলে আধুনিক নেভিগেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, যা শেষ মুহূর্তে আক্রমণের দিক নির্ধারণ করতে সক্ষম। এই প্রযুক্তির কারণে মিসাইলগুলো অনেক নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানছে। উদাহরণ হিসেবে বেরশেবা শহরের একটি হাসপাতালে মিসাইলের সরাসরি আঘাতের কথা উল্লেখ করা হয়।

গোয়েন্দা কর্মকর্তার মতে, ইসরায়েল যতই ইরানের উচ্চ পর্যায়ের কমান্ড স্ট্রাকচারে আঘাত করুক না কেন, ইরান এখনো বিপুল পরিমাণ মিসাইল মজুদ রেখেছে, যা দিয়ে দীর্ঘমেয়াদে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানো সম্ভব।

ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ পূর্বে ধারণা করেছিল ইরান এখন ভেতর থেকে দুর্বল এবং তাদের সরকার পতনের দিকেই যাচ্ছে। কিন্তু গোয়েন্দা সূত্র ভিন্ন চিত্র আঁকে। তারা বলছে, ইরান এখন 'কৌশলগত ধৈর্যের' পথে হাঁটছে—তাৎক্ষণিক না হলেও, সুপরিকল্পিত এবং সময়োপযোগী প্রতিশোধই তাদের কৌশল।

তিনি বলেন, “আমরা যদি মনে করি ইরান এখন পরাজিত, তবে সেটি হবে মারাত্মক ভুল। তাদের মধ্যে সংকল্প ও ধারাবাহিকতা রয়েছে—আর সেটাই তাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র।

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধমঞ্চে আবারও উত্তেজনা বাড়ছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার এই আধুনিক অস্ত্রযুদ্ধ এখন কেবল সামরিক নয়, বরং প্রযুক্তি, মনোবল ও সময় ব্যবস্থাপনার একটি প্রতিযোগিতা। আয়রন ডোমের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হলে, ইসরায়েল কিভাবে এই আক্রমণের ঢেউ সামাল দেবে—তা নিয়ে এখন গোটা বিশ্বের দৃষ্টি টেলআভিভের দিকে।

Ingen kommentarer fundet