কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত হলো ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’। পরিবেশ ও কর্মক্ষেত্রে গুণগত মান বজায় রেখে দেশের শিল্পখাতকে আরও সবুজ ও টেকসই করতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, যিনি বর্তমানে কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বাংলাদেশের শিল্প খাতের আধুনিকায়নের পাশাপাশি পরিবেশগত সুরক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে এই পুরস্কার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশে যে সকল কলকারখানা ও ফ্যাক্টরি বিভিন্ন পরিদর্শন ও যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব মানদণ্ড পূরণ করেছে, তাদেরকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫-এর মাধ্যমে টেকসই ও পরিবেশগত দৃষ্টিকোণ থেকে সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদযাপন করা হলো। এটি শিল্পখাতের জন্য একটি বড় প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ও কার্যক্রম সম্প্রসারণে।
এই গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫-এ টেক্সটাইল সেক্টর থেকে সেরা হিসেবে নির্বাচিত হয় আকিজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ ও কর্মক্ষেত্রে গুণগত মান বজায় রাখায় এই সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
আকিজ টেক্সটাইলের পক্ষে ম্যানেজিং ডিরেক্টর শেখ জামিল উদ্দিন পুরস্কার গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে আকিজ টেক্সটাইলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং এই পুরস্কার প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যত পরিকল্পনায় নতুন উদ্দীপনা যোগ করেছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. এম সাখাওয়াত হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, “পরিবেশ বান্ধব কলকারখানা গড়ে তোলা আমাদের শিল্প নীতির অঙ্গ। এটি শুধু পরিবেশ রক্ষায় নয়, কর্মীদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।” তিনি আরও জানান, সরকার পরিবেশগত মান উন্নয়নে আরও কঠোর নিয়ম-কানুন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কাজ করছে।
উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “শিল্প ও গৃহায়ন খাতে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য এই পুরস্কার ব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকর। এটি শিল্পীদের উদ্বুদ্ধ করবে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে, যা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।”
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর দেশের বিভিন্ন কলকারখানা পরিদর্শন করে থাকে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ, সুরক্ষা ব্যবস্থা, শ্রমিকদের কল্যাণ, এবং পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করতে। এই ধরনের পুরস্কার পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিল্পখাতের উন্নতিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত পরিবর্তন ও জলবায়ু সংকটের প্রেক্ষাপটে শিল্পখাতে টেকসই ও পরিবেশ বান্ধব উদ্যোগ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশের শিল্পখাতও এ দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে এবং গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড এর মাধ্যমে সেই প্রচেষ্টা দৃঢ় হচ্ছে।
আসন্ন দিনে আরো অনেক প্রতিষ্ঠান এই পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতা করবে বলে আশা করা যায়, যা পরিবেশ বান্ধব কর্মসংস্থান এবং শিল্প উন্নয়নে সহায়ক হবে।