close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

গ্রামীণ ব্যাংকের পদ ছাড়তে চায় না, রাষ্ট্রের পদ ছাড়বে কিভাবে : বিএনপি নেত্রী নিলুফা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিএনপি নেত্রী নিলুফা ড. ইউনূসের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “যে ব্যক্তি গ্রামীণ ব্যাংকের পদ ছাড়তে চায় না, সে রাষ্ট্রীয় পদ ছাড়বে কীভাবে?” টকশোতে প্রকাশ্যেই ইউনূসের পদত্যাগ নাটক ও তার রাজনৈতিক ..

ড. ইউনূসের পদত্যাগ নাটক নিয়ে বিএনপি নেত্রীর তীব্র আক্রমণ — ‘গ্রামীণ ব্যাংক ছাড়তে চায় না, রাষ্ট্রের দায়িত্ব কীভাবে ছাড়বে?’

রাজনীতির মঞ্চে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন বিএনপির নেত্রী নিলুফা। সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের জনপ্রিয় টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি স্পষ্টভাষায় আক্রমণ করেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে।

নিলুফা বলেন, "একজন ব্যক্তি যিনি আজ অবধি গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারে আঁকড়ে ধরে আছেন, তিনি কীভাবে রাষ্ট্রের বড় দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়াবেন? তার কথাবার্তা, তার নাটক দেখে বোঝা যায় — তিনি কেবল নিজের স্বার্থেই কাজ করেন।"

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, “আপনারা দেখেন, নাহিদকে দিয়ে পদত্যাগের নাটক করানো হলো। এ ধরনের রাজনৈতিক নাটক বাংলাদেশের জনগণ বহুবার দেখেছে। এবার তারা ক্লান্ত। ড. ইউনূস নিজের অবস্থান পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা না করে বারবার ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছেন। যেটা খুবই দুঃখজনক।”

‘বাচ্চাদের মুখ দিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করানো হচ্ছে’ — বিস্মিত নিলুফা

নিলুফা বলেন, "যে ব্যক্তি নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারে না, সে কি রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য উপযুক্ত? পদত্যাগ করবে কিনা তা নিজে বলার সাহস নেই। অথচ বাচ্চাদের ডেকে সেই সিদ্ধান্ত তাদের মুখ দিয়ে বলানো হচ্ছে। এটি কোনো গুরুতর নেতার রুচি হতে পারে না।"

‘বিএনপির সঙ্গে দেখা করার সময় নেই, অথচ নিজে নাটকের কেন্দ্রবিন্দু’

বিএনপির নেত্রী আরও বলেন, “ড. ইউনূস বলেন এনসিপি কোনো কিংস পার্টি না। অথচ বাস্তবে তার আচরণ প্রমাণ করে দেয় তিনি নিজেই নিজের চারপাশে এক ধরনের রাজপ্রাসাদ তৈরি করে রেখেছেন। বিএনপির মতো একটি দলের সঙ্গে যাঁর দেখা করার সময় নেই, সেই ব্যক্তি কীভাবে গণতন্ত্র ও রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলেন?”

তিনি আরও বলেন, “এই দেশে যখন বিএনপির সরকার গঠন তিন দিন বিলম্বিত হয়েছিল, তখন দেশের মানুষ জানতো এই দল কতটা গুরুত্বপূর্ণ। অথচ আজ ড. ইউনূস সেই দলের নেতাদের এড়িয়ে যাচ্ছেন। এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বিপরীত।”

‘কে তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে?’ — প্রশ্ন নিলুফার

ড. ইউনূসের পদত্যাগ প্রসঙ্গে নিলুফা বলেন, “তাকে তো কেউ বাধ্য করেনি। তাহলে কেন পদত্যাগ করলেন? আবার নিজের মুখে কিছু বলছেন না, অন্যদের মুখ দিয়ে আমাদের শোনাচ্ছেন। জনগণ এসব নাটক বুঝে গেছে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিতে হলে স্পষ্টতা, দৃঢ়তা, ও আত্মবিশ্বাস দরকার — যেটা তার মাঝে অনুপস্থিত।”

 

বিএনপি নেত্রীর এই বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, এটা কেবল ইউনূসের প্রতি একটি দলীয় নেত্রীর প্রতিক্রিয়া নয়, বরং এটা ভবিষ্যতের রাজনীতির জন্য একটি বার্তা। রাজনৈতিক পদক্ষেপ ও বক্তব্যের স্বচ্ছতা চেয়ে নেতারা যখন একে অপরকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন, তখন জনগণের মনেও প্রশ্ন জাগে — কে আসলে রাষ্ট্র পরিচালনার যোগ্য?

Keine Kommentare gefunden