গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে ঘিরে উদ্ভূত উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এখন অনেকটা শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
গতকাল বুধবার এনসিপির সমাবেশে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার পর রাত ৮টা থেকে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ২৫ জনকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো জানান, এ ঘটনায় ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জনকে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরও তিনজনকে রাজারবাগ হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে।
এনসিপি নেতাদের অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, "আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সঠিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। যারা অন্যায় করেছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং হবে। কাউকে কোনো রকম ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।"
তিনি আরও বলেন, "যতদিন পর্যন্ত সব অপরাধী ধরা না পড়বে, ততদিন পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।" এসময় গোপালগঞ্জের ঘটনা লাইভ করায় সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট টিভি চ্যানেলগুলোকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, উপদেষ্টা এর আগে রাজধানীর রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে গোপালগঞ্জের ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে যান। এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামগ্রিকভাবে এই ঘটনাটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।