ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। ষষ্ঠ মিনিটেই প্রথম বড় সুযোগ তৈরি করে আল-আহলি। আবু আলি বক্সে ঢুকে বল জালে পাঠানোর আগে অফসাইডের পতাকায় থেমে যেতে হয় তাকে। এরপর নবম মিনিটে আরেকটি সুযোগ পান ইমাম আশুর। তবে তার শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন ইন্টার মায়ামির গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি।
১৫তম মিনিটে ফ্রি-কিক পায় ইন্টার মায়ামি। বরাবরের মতো বলের পেছনে দাঁড়ান লিওনেল মেসি। তবে তার নেওয়া শট চলে যায় অনেকটা বাইরে দিয়ে। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে ছিল আল-আহলি, আর ৩২তম মিনিটে এক ফাঁকা হেড থেকে গোলের কাছাকাছি গিয়েও গোলরক্ষকের দক্ষতায় বঞ্চিত হয় তারা।
বিরতির ঠিক আগে মায়ামির এক খেলোয়াড় নিজেদের বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় আল-আহলি। স্পট কিক থেকে ট্রেজেগুয়েট গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু মায়ামির গোলরক্ষক ঠান্ডা মাথায় বল ধরে ফেলেন।
দ্বিতীয়ার্ধে মেসিকে কেন্দ্র করে গোছানো আক্রমণে নামে ইন্টার মায়ামি। ৬৪ মিনিটে তার নেওয়া ফ্রি-কিক অল্পের জন্য জালে ঢুকতে পারেনি। শেষদিকে ম্যাচে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। একের পর এক আক্রমণ, কিন্তু দুই দলের গোলরক্ষকের অসাধারণ সেভে রক্ষা পায় উভয় গোলপোস্ট।
শেষ মুহূর্তে কর্নার থেকে আসা বলে ফাফা পিকোল্ট হেডে গোলের চেষ্টা করলেও, আল-আহলির গোলরক্ষক আবারও দুর্দান্ত সেভ করেন। এরপর আরও দুটি কর্নার থেকে আসা বলও ঠেকান তিনি।
অবশেষে ৯০ মিনিট শেষে কোনো দলই জালের দেখা না পাওয়ায় ম্যাচ শেষ হয় ০-০ গোলের সমতায়।
এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ৭টি দল নয়, ৩২টি ক্লাব নিয়ে হচ্ছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। পূর্বে এটি ছোট পরিসরে কেবল ৭টি মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়ন দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হতো। এবারের বিস্তৃত সংস্করণে বিশ্বজুড়ে সেরা ক্লাবগুলোর লড়াই আরও জমজমাট হয়ে উঠবে বলে আশা ফিফার।