close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

গণহত্যাকারীদের বিচার চাই – শফিকুর রহমান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ন্যায়বিচারের দাবি জামায়াত আমিরের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, "গত জুলাইয়ের এক তারিখ থেকে পাঁচ আগস্ট পর্যন্ত বাংল
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ন্যায়বিচারের দাবি জামায়াত আমিরের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, "গত জুলাইয়ের এক তারিখ থেকে পাঁচ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশকে নরকে পরিণত করা হয়েছিল। ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত মানুষ খুন করা হয়েছে। আমরা গণহত্যার বিচার চাই। প্রত্যেকটি গণহত্যার বিচার হতে হবে এবং অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিচার কার্যকর করতে হবে।" তিনি বলেন, "গণহত্যার বিচার হলে শহীদের আত্মা শান্তি পাবে, আহতরা একটু স্বস্তি খুঁজে পাবে এবং ১৮ কোটি মজলুম মানুষ খুশি হবে।" বিচার না হলে দুঃশাসনের পুনরাবৃত্তি গতকাল জয়পুরহাট সার্কিট হাউস মাঠে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বিশাল কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর জয়পুরহাট জেলা শাখার আমির ডা. ফজলুর রহমান সাঈদ। সম্মেলনে শফিকুর রহমান বলেন, "সমাজের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে, সেগুলোও করতে হবে। কিন্তু এক মাসের মধ্যে তারা দেড় থেকে দুই হাজার মানুষ হত্যা করল! আমাদের ক্ষমতায় বসানোর জন্য কেউ জীবন দেননি, তারা জীবন দিয়েছেন একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য।" তিনি আরও বলেন, "আমরা চাই না বাংলাদেশে আবার দুঃশাসন ফিরে আসুক। দেশের মানুষ চায় একটি অর্থবহ নির্বাচন, যেখানে সুষ্ঠুভাবে নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে।" গণতন্ত্র রক্ষায় প্রয়োজনীয় সংস্কারের আহ্বান শফিকুর রহমান বলেন, "এই সরকারকে আমরা যৌক্তিক সময় দিতে চাই প্রয়োজনীয় সংস্কার করার জন্য। আমরা তাড়াহুড়ো করে ক্ষমতায় যেতে চাই না, একইভাবে চাই না কেউ জোর করে ক্ষমতায় বসুক। আমরা চাই, জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থনের ভিত্তিতে যেন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়।" তিনি জোর দিয়ে বলেন, "যদি সত্যিই জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে হয়, তাহলে অবিলম্বে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। প্রয়োজনীয় সব রাজনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়ন করেই নির্বাচন হতে হবে, যাতে জনগণের প্রকৃত রায় প্রতিফলিত হয়।" জামায়াত আমিরের বক্তব্যে উঠে এসেছে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও রাজনৈতিক সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ দাবি। দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিবেশ কেমন হবে, তা এখন নির্ভর করছে সরকারের পদক্ষেপ ও জনগণের সিদ্ধান্তের ওপর।
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি