close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

গাজীপুরে অনুমোদনহীন 'টেস্টোভা' জুস ফ্যাক্টরি : শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে, এলাকাবাসীর উদ্বেগ..

Jahangir Alam avatar   
Jahangir Alam
গাজীপুরে অনুমোদনহীন 'টেস্টোভা' জুস ফ্যাক্টরি : শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে, এলাকাবাসীর উদ্বেগ..

জাহাঙ্গীর আলম

গাজীপুরে অনুমোদনহীন 'টেস্টোভা' জুস ফ্যাক্টরি : শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে, এলাকাবাসীর উদ্বেগ

গাজীপুর মহানগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম ভোগড়া তেতুলতলা এলাকায় সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে একটি জুস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, যার নাম ‘টেস্টোভা’। প্রতিষ্ঠানটি কোনোরকম সরকারি অনুমোদন, লাইসেন্স বা মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই নিয়মিতভাবে বাজারে বিভিন্ন ধরনের জুস সরবরাহ করছে। এতে মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে সাধারণ জনগণ, বিশেষ করে শিশু-কিশোররা।

জানা গেছে, এই অবৈধ ফ্যাক্টরিটি পরিচালনা করছেন মোঃ কবির হোসেন ও মোঃ লুৎফর রহমান নামে দুই ব্যক্তি। প্রতিষ্ঠানটির কোনো ধরনের বিএসটিআই অনুমোদন নেই। গত ১৬ মে ২০২৫ তারিখে বিএসটিআই গাজীপুর অঞ্চলের একটি দল সেখানে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে এবং প্রতিষ্ঠানটিকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে, অনুমোদন ছাড়া পুনরায় ফ্যাক্টরিটি চালু করা যাবে না বলে সতর্ক করা হয়।

কিন্তু প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ২০ মে ২০২৫ তারিখে স্থানীয় সাংবাদিক ও এলাকাবাসী সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়, টেস্টোভা জুস কোম্পানিটি আবারও গোপনে তাদের কার্যক্রম চালু করেছে। সেখানে শিশুদের জন্য বিপজ্জনকভাবে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন রঙিন জুস, যা মূলত পানি ও ক্ষতিকর কেমিক্যালের মিশ্রণে প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটিতে দৈনিক প্রায় ৫-৭ ধরনের জুস উৎপাদিত হচ্ছে, যার কোনো মান নিয়ন্ত্রণ নেই।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, “এই জুসগুলোতে কোনো প্রাকৃতিক ফলের নির্যাস নেই। শুধু পানি, রঙ ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দিয়ে বানানো হচ্ছে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিশুরা কম দামে কিনে এসব জুস পান করছে, যা ভবিষ্যতে তাদের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।”

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মালিকপক্ষ ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় বারবার আইন অমান্য করে এই কারখানা চালু রাখছে। স্থানীয় প্রশাসনের একাংশ এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসীর জোর দাবি, টেস্টোভা জুস কোম্পানির বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় যেন এ ধরনের অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান আর কোনোভাবেই চালু না থাকতে পারে তা নিশ্চিত করা হোক।

সচেতন মহলের আহ্বান:

খাদ্যপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর ও নিয়মিত নজরদারি চালানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিশেষত শিশুদের খাবার ও পানীয় পণ্যে যেন কোনো ক্ষতিকর উপাদান না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।

No comments found