close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

গাজীপুর শ্রীপুরে স্ত্রীর আত্মহত্যায় স্বামী গ্রেপ্তার, জনমনে জেগেছে প্রশ্ন!..

Md Sale avatar   
Md Sale
গাজীপুর শ্রীপুরে স্ত্রীর আত্মহত্যায় স্বামী গ্রেপ্তার, জনমনে জেগেছে প্রশ্ন!

মো: আবু সালেহ
গাজীপুর, শ্রীপুর

গাজীপুর শ্রীপুরে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, এ ঘটনায় সে নারীর ..

গাজীপুর শ্রীপুরে স্ত্রীর আত্মহত্যায় স্বামী গ্রেপ্তার, জনমনে জেগেছে প্রশ্ন!

মো: আবু সালেহ 
 গাজীপুর, শ্রীপুর

গাজীপুর শ্রীপুরে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, এ ঘটনায় সে নারীর স্বামীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে নানা প্রশ্ন ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

গত ২৯শে জুন রোজ রবিবার বিকেল ৫টায় শ্রীপুর উপজেলার কাজীপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লিমা সরকার (২৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে শ্রীপুর থানা পুলিশ। তিনি একই উপজেলার সিংদীঘি এলাকার বিএনপি নেতা এবিএম হাসানের মেয়ে এবং খিলপাড়া গ্রামের রাজিব প্রধানের স্ত্রী। রাজিব একজন পেশাদার সংবাদকর্মী।

জানা গেছে, ২০১১ সালে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রাজিব ও লিমার মধ্যে। ২০১৪ সালে তারা উভয় পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। দীর্ঘদিন গোপনে সংসার করার পর অবশেষে ২০২৫ সালে পরিবারিক স্বীকৃতি পান রাজিব ও লিমা দম্পতি। তবে শুরু থেকেই শ্বশুর এবিএম হাসান সম্পর্কটিকে মেনে নিতে নারাজ ছিলেন। তিনি জামাতা রাজিবের বিরুদ্ধে শাশুড়ির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তোলেন। এসব নিয়ে পরিবারে শুরু হয় নানা কলহ।

রাজিবের দাবি, “আমার স্ত্রী লিমা মানসিক চাপে ও হতাশায় ভুগছিলেন। শ্বশুর আমাদের সম্পর্ক মেনে নেননি, বরং আমার বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়িয়েছেন। এমনকি শাশুড়ির সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করে শাশুড়িকে একঘরে করে দিয়েছেন। এসব কারণে লিমা গভীর হতাশা গ্রস্ত ছিল। কিন্তু আমি কখনো আমার স্ত্রীকে মারধর করিনি বা মানসিক চাপ দিইনি, আমাদের সম্পর্ক ছিল খুবই মধুর ও প্রেমময়।”

লিমার মৃত্যুর পর তাঁর পিতা এবিএম হাসান প্রথমে হত্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা করেন, কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সেটি সম্ভব না হওয়ায় বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারা অনুযায়ী আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন লিমা সরকারের স্বামী রাজিবের বিরুদ্ধে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, “স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ছিল, যার জেরে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে আমাদের প্রাথমিক ধারণা। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা রুজু করা হয়েছে (মামলা নম্বর-৬২, তারিখ: ৩০ জুন ২০২৫)। এ মামলায় রাজিব প্রধানকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

এদিকে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ছাড়াই শুধুমাত্র পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একজন পেশাদার সংবাদকর্মীকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোয় জনমনে প্রশ্ন ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। আত্মহত্যার পেছনের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন উক্ত উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও সংশ্লিষ্টরা।


ছবি: রাজিব প্রধান ও নিহত লিমা সরকারের

コメントがありません