গাজায় সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতিসংঘ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের ফিলিস্তিন শাখার প্রধান অজিত সানগে গতকাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ২১০ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তিনি দাবি করেন, প্রাপ্ত প্রমাণ অনুযায়ী ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে এগুলো ইচ্ছাকৃত হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের চরম লঙ্ঘন। সানগে এ ঘটনাগুলোকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে অবিলম্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিক্রিয়া জানা গেছে। ইউনেস্কো একে "গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য চরম হুমকি" বলে আখ্যায়িত করেছে। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস তাদের প্রতিবেদনে এ সময়কে "সাংবাদিকতার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ অধ্যায়" হিসেবে উল্লেখ করেছে। অন্যদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, "ইসরায়েলি বাহিনীর এ ধরনের কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধের শামিল।" বর্তমানে গাজাকে সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, এই সহিংসতা কবে থামবে এবং নিহত সাংবাদিকদের পরিবাররা কি কোনোদিন ন্যায়বিচার পাবে?