close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

গাজায় ফের রক্তগঙ্গা: একদিনে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২৬, দেড় বছরে প্রাণ হারাল ৫০ হাজারের বেশি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েলের টানা বিমান হামলায় আবারও রক্তাক্ত গাজা। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় নিহত ২৬, আহত শতাধিক। দেড় বছরে নিহত ৫০ হাজার ছাড়াল। নারী ও শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। যুদ্ধ থামাতে বারবার জাতিসংঘের আহ্বান, তবু থা..

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় রক্তের বন্যা যেন থামছেই না। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাত্র একদিনে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)-এর বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০৬ জন। ফিলিস্তিনের গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। তারপর থেকে প্রতিদিনের মতোই চলছে টানা হামলা, ধ্বংস আর লাশের মিছিল। সর্বশেষ এ হামলার পর পর্যন্ত গাজায় মোট প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ হাজার ৯১২ জন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৮১ জন মানুষ। এই সংখ্যার মধ্যে প্রায় ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু, যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা এবং মানবিক বিপর্যয়ের মাত্রা প্রকাশ করে।

এই সহিংসতার সূচনা ঘটে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। ওইদিন গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস হঠাৎ করেই ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে অতর্কিতে হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণে প্রাণ হারান ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি। সেই সঙ্গে ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয় গাজায়।

এর জবাবে ইসরায়েল শুরু করে ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ প্রতিশোধমূলক অভিযান। প্রথম দফায় ১৫ মাসের মতো লাগাতার আক্রমণের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল। কিন্তু সেই বিরতি মাত্র দুই মাসও টেকেনি। ১৮ মার্চ থেকে দ্বিতীয় দফায় আবারও শুরু হয় সামরিক অভিযান, যা এখন আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত মাত্র ১৫ দিনের অভিযানে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ২ হাজারের বেশি মানুষ

হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া ২৫১ জনের মধ্যে এখনও প্রায় ৩৫ জন জীবিত রয়েছেন বলে ধারণা করছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। আইডিএফ জানিয়েছে, এই জিম্মিদের উদ্ধারের জন্য সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়া হবে।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইতোমধ্যেই বহুবার ইসরায়েলকে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছে। এমনকি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিজে)-এ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’র মামলাও দায়ের হয়েছে। তবে এইসব চাপ কিংবা আহ্বানকে উপেক্ষা করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়ে দিয়েছেন, “হামাস পুরোপুরি ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবেই।”

এই অবস্থায় গাজার সাধারণ মানুষের জীবন যেন এক দীর্ঘ রাতের ভিতর ডুবে আছে। প্রতিদিনই তারা হারাচ্ছে তাদের সন্তান, স্বামী, স্ত্রী, ভাই বা বোনকে। ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে কখনও বের হয় নিথর শিশু দেহ, কখনও মায়ের কান্নায় ফেটে পড়ে গোটা শহর।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের আশু পদক্ষেপ ছাড়া এই মানবিক বিপর্যয় থামানো কঠিন হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। আর ততদিন পর্যন্ত গাজা যেন রক্তস্নানেই ঢেকে থাকছে।

Tidak ada komentar yang ditemukan


News Card Generator