ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অব্যাহত হামলায় সোমবার (২৩ জুন) কমপক্ষে ৪৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জন ছিলেন ত্রাণপ্রার্থী, যারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত বিতরণ কেন্দ্র থেকে ত্রাণ নিতে গিয়েছিলেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনি মেডিকেল সূত্রের বরাতে। সোমবার ভোর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে মানুষের ওপর নির্বিচারে বোমা বর্ষণ করেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৫৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা নতুন মাত্রা নিয়ে এসেছে। ২৭ মে থেকে শুরু হওয়া ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে ইতিমধ্যেই চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত ও প্রায় এক হাজার জন আহত হয়েছেন। জাতিসংঘ এই বিতর্কিত ফাউন্ডেশনকে ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই বর্বরতা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছে। দখলদার সেনারা মানবতাবিরোধী অপরাধ চালিয়ে গাজার সাধারণ মানুষকে এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে। বিশ্ববাসী চরম মানবিক সংকটের মধ্যে নিঃস্ব ও দুর্ভিক্ষাক্রান্ত গাজার পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ জোরদার করছে।
বর্তমানে গাজায় জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বিঘ্নিত, চিকিৎসা ও ত্রাণ সামগ্রীর অভাব তীব্র। ইসরায়েলি হামলার ফলে অসংখ্য ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং শিশু, নারীসহ অসহায় সাধারণ মানুষ দুঃসহ অবস্থায় পড়েছে। এই সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য রাজনৈতিক ও মানবিক দিক থেকে দ্রুত সমাধানের প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়েছে।
বিশ্বমঞ্চে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা ও সমাধানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, কিন্তু বাস্তবতা এখনও ভয়াবহ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, নয়তো এই মানবিক বিপর্যয় আরও গভীরতর হবে।
 'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  
  
 
		 
				 
			



















 
					     
			 
						 
			 
			 
			 
			 
			 
			