ফরিদপুরের সদর উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার (২৮ মে) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক শামীমা পারভীন আসাদ আলী ওরফে বাচ্চু (৪৩) কে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
আসাদ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার বাসিন্দা। ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে তিনি তার স্ত্রী শান্তা বেগম (২২) কে নির্মমভাবে হত্যা করেন। ঘটনার তিন দিন পর শান্তার মা কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্তে আসাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বিয়ের মাত্র তিন মাস পর থেকেই আসাদ যৌতুকের দাবিতে শান্তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তাদের বিচ্ছেদ হলেও আসাদ পরে শান্তাকে ফের তালাক রেখে বিয়ে করেন। সদর উপজেলার একটি এগ্রো ফার্মে চাকরি করার সময়ও তিনি যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন চালিয়ে যান।
২৫ অক্টোবর রাতে চূড়ান্তভাবে শান্তাকে হত্যা করে আসাদ পালিয়ে যান। পরদিন সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শান্তার লাশ উদ্ধার করে।
ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া জানান, ১০ জন সাক্ষীর বক্তব্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আসাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তিনি এই রায়কে নারী নির্যাতন বিরোধী সংগ্রামে একটি মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
রায় ঘোষণার পর আসাদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞরা এই রায়কে ন্যায়বিচারের জয় হিসেবে দেখছেন এবং আশা করছেন, এটি সমাজে যৌতুকের মতো সামাজিক ব্যাধি রোধে ভূমিকা রাখবে।