নোয়াখালী জেলা বিএনপির নেতা ও ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং মেট্রো হোমসের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম বলেছেন, জনগণের সেবা ও পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা যাঁর থাকবে, ভবিষ্যতে দলীয় মনোনয়ন তাঁরই প্রাপ্য হবে।
সোমবার (৯ জুন) বসুরহাট বাজারে ঈদ-পরবর্তী পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে নিজের বাসভবনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা রাজনীতিতে এগিয়ে চলেছি। সাধারণ জনগণের প্রতি যিনি নিষ্ঠাবান থাকবেন, তিনিই মনোনয়ন পাবেন। আমরা অতীতেও জনগণের পাশে ছিলাম, এখনো আছি এবং আগামীতেও থাকব।”
তিনি আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী রাজনীতির সমালোচনা করে বলেন, “আমরা কারো ব্যক্তিগত নামে সন্ত্রাসের সুযোগ দেব না। কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির নাম ব্যবহার করে কেউ চাঁদাবাজি বা সন্ত্রাস করবে না। এখানে আর কাদের মির্জার মতো সন্ত্রাসীর জন্ম হতে দেওয়া যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “ভবিষ্যতের নির্বাচন হবে প্রতিযোগিতাপূর্ণ। দল আমাকে উপযুক্ত মনে করলে আমি প্রস্তুত আছি। তবে আমরা কোন অশান্তি নয়, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। তারা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে চায়।”
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সরকার যেন নিরপেক্ষ থাকে এবং জনগণ যেন স্বাধীনভাবে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।”
এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাধারণ মানুষ জানান, আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম একজন মানবতার ফেরিওয়ালা, তিনি সবসময় গরীব অসহায় মানুষদের পাশে ছিলেন। দীর্ঘদিন থেকে তিনি মানুষের দুঃখে পাশে দাঁড়িয়েছেন। যোগ্যতার ও মানসিকতার দিক থেকে তিনি এগিয়ে আছে, মানুষ রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এখন মুখ খুলছে না। আমার মনে হয় তিনি এগিয়ে আছেন। দল আশা করি তার মতো একজন সমাজ সেবক কে নমিনেশন দিবেন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন:
উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব আহমেদ বাচ্চু, আনিসুল হক, একরামুল হক মিলন, হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া, যুবদল নেতা মেহেদী হাসান টিপু, গোলাম হায়দার শাহীন, কৃষক দলের তাজুল ইসলাম চৌধুরী স্বপন, নাছের মেম্বার, আবুল বাশার, মহিন উদ্দিন ছোটন, মাইন উদ্দিন, হাজী শাহজাহান, শিহাব উদ্দিন রিপন, ও আজিজ আজমীরসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।



















