ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি: বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের সফলতা এসেছে সাধারণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মাধ্যমে। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, "ছাত্র-জনতার নেতৃত্বেই ফ্যাসিস্টদের পতন ঘটেছে।"
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এই কথা জানান।
ছাত্র-জনতার অদম্য স্পৃহাই ছিল বিজয়ের চাবিকাঠি
আসিফ মাহমুদ তার পোস্টে লিখেছেন, “দেশের জন্য জীবন দেওয়ার অদম্য স্পৃহা নিয়ে বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে পড়া ছাত্র-জনতার নেতৃত্বেই ফ্যাসিস্টদের পতন ঘটেছে।”
তিনি মনে করেন, এই ঐতিহাসিক লড়াই ছিল জনগণের বিজয়ের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। দেশের আপামর জনগণই এই বিপ্লব সফল করেছে এবং ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান ঘটিয়েছে।
শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না
ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, "সেই ঐতিহাসিক লড়াইয়ের ক্ষুদ্র অংশ হতে পেরেছি—এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। যতদিন বেঁচে থাকি, সহস্র শহীদের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়, তা নিশ্চিত করাই মুখ্য দায়িত্ব।"
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই অব্যাহত থাকবে
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গণঅভ্যুত্থানের এই সাফল্য শুধুমাত্র একটি শাসকের পতনই নয়, বরং এটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলন ভবিষ্যতে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে বলে তারা মনে করেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে গণঅভ্যুত্থান সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে ছাত্রদের ভূমিকা বরাবরই ছিল অগ্রণী ও সাহসী। তাই ভবিষ্যতেও দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র রক্ষায় তরুণ প্রজন্মের এমন ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
Ingen kommentarer fundet