অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হতে যাচ্ছে দেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় রাজনৈতিক উৎসব। প্রধান উপদেষ্টা এই প্রক্রিয়াটিকে শুধুমাত্র একটি সাংবিধানিক আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে দেখছেন না, বরং এটিকে দেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের জন্য একটি আনন্দময় অংশগ্রহণের সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
গতকাল এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে ড. ইউনূস এই ঘোষণা দেন। তাঁর মতে, একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, "আমরা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে বদ্ধপরিকর, যেখানে প্রতিটি নাগরিক নির্ভয়ে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।" প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, এই নির্বাচন ও গণভোট জাতিকে নতুন পথে চালিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রধান উপদেষ্টার এই মন্তব্য দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। উৎসবমুখর পরিবেশের বার্তাটি মূলত ভোটারদের কেন্দ্রে আসার উৎসাহ জোগাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, বহুল প্রতীক্ষিত গণভোটের আয়োজন দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোতে মৌলিক পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের পূর্ণ সহযোগিতা এবং স্বচ্ছতার নিশ্চয়তা দিয়েছেন, যাতে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া বিশ্বজুড়ে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। এই ঘোষণার পর থেকে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণের মধ্যে এক নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।



















