স্টাফ রিপোর্টার > এসএসসি পরীক্ষায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছাত্রকে মোবাইল ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপে নকল সরবরাহের ঘটনায় আমেনা বাকী স্কুলের শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়েছে। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭ দিনের কারাদন্ড ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আটক শিক্ষক আনোয়ার হোসেন সাইতাড়ার আব্দুল হামিদের ছেলে। তিনি চিরিরবন্দরের আমেনা বাকী রেসিডেন্সি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের গনিত বিষয়ক শিক্ষক।
কেন্দ্র সচিব সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন, আজকে উচ্চতর গণিত পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিটের মাথায় দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের পরিদর্শক দল একটি কক্ষে ৯৫২৭৫৭ রোল নম্বরধারী লাবিব হাসনাত সর্দার নামে এক ছাত্রের কাছে মোবাইল দেখতে পেলে তাকে বহিস্কার করে। এরপর ওই মোবাইলের সুত্র ধরে আমেনা বাকি রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে আমেনা বাকি স্কুল থেকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়। এছাড়াও একই পরিক্ষায় অন্য একটি কক্ষ থেকে নকল করার অভিযোগে ২৪৫৫৭০ রোল নম্বরধারী হাফিজুল ইসলাম নামে আরেক ছাত্রকে বহিস্কার করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, কেন্দ্রর ভিতর থেকে মোবাইল ফোনে প্রাইভেট শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের কাছে প্রশ্ন জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে উত্তর সংগ্রহ করছিল তার ছাত্র। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষককে চিহ্নিত করে আটক করেন তারা। স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মোবাইল কোর্টে ওই শিক্ষককে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ২ ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলী জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক পরীক্ষা হলের কোন দ্বায়িত্বে ছিলেননা। তিনি বহিরাগত হিসেবে নকল সরবরাহে জড়িত ছিলেন। পরীক্ষায় অসৎউপায় অবলম্বনের দায়ে গাইবান্ধ্যায় ৬ জন পঞ্চগড়ে ১ জন এবং দিনাজপুরে ২জন সহ ৯ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো ৯৯৮ জন পরীক্ষার্থী।
চিরিরবন্দর থানার ইনচার্জ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, সাজা ভোগ করতে দন্ডিত শিক্ষককে জেলা কারাগারে পেরন করেছেন তারা
###