close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

এনসিপির দুই নেতার সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বৈঠক

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফের আলোচনার ঝড়! এবার সরাসরি বৈঠকে মিলিত হলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর শীর্ষ দুই নেতা ও ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। বুধবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এন..

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই আলোচনায় উঠে এসেছে বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের অব্যাহত সমর্থন, গণতন্ত্র ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক ভবিষ্যতের বিষয়টি। ব্রিটিশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে এক বার্তায় জানানো হয়, এই বৈঠকটি ছিল তাদের বৃহত্তর কূটনৈতিক কর্মকৌশলের অংশ, যার উদ্দেশ্য হলো দেশের রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ এবং ভবিষ্যৎ পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তি গড়ে তোলা।

বৈঠকে কী কী আলোচনা হলো?

বিশ্ব কূটনৈতিক মঞ্চে যখন দক্ষিণ এশিয়াকে ঘিরে জটিল সমীকরণ তৈরি হচ্ছে, তখন ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের এই পদক্ষেপ অনেকের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে হচ্ছে। সূত্র বলছে, বৈঠকে বিশেষভাবে আলোচনা হয়:

  • গণতন্ত্র চর্চা ও অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি নিশ্চিত করার কৌশল নিয়ে

  • দেশের উন্নয়ন এবং আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে ব্রিটিশ সহায়তার রূপরেখা

  • রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ধারা প্রসারিত করা

বৈঠক শেষে সারাহ কুক বলেন,

“যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সুশাসন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অব্যাহতভাবে অংশীদার থাকতে চায়।”

এনসিপির পক্ষ থেকেও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন,

“আমরা গণতন্ত্র, সম্প্রীতি ও উন্নয়নকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত।”


কেন গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠক?

এই বৈঠক এমন এক সময়ে হলো, যখন বাংলাদেশে রাজনীতিক প্রেক্ষাপট বেশ উত্তপ্ত। সাম্প্রতিক নির্বাচন ও রাজনৈতিক অচলাবস্থার পর অনেকেই ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে উদ্বিগ্ন। এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্যের শীর্ষ কূটনীতিকের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের সরাসরি সাক্ষাৎ নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ব্রিটিশ হাইকমিশনের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় আগ্রহ ও হস্তক্ষেপেরই প্রতিচ্ছবি, যা আগামী দিনগুলোতে নতুন জোট, সংলাপ বা রাজনৈতিক চুক্তির ইঙ্গিতও হতে পারে।


শেষ কথা

রাজনৈতিক আঙিনায় এমন কৌশলগত বৈঠক নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। এতে যেমন দেখা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলের আগ্রহ, তেমনই স্পষ্ট হচ্ছে যে, রাজনৈতিক দলগুলোও নিজেদের অবস্থান ও দর্শন আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরতে আগ্রহী।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি