close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

এনসিপি জনগণের চোখে ধুলা দিতে চেয়েছিল , তারেক

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
তারেক রহমান দাবি করেছেন, এনসিপি বৈষম্যবিরোধী কর্মসূচি বিলুপ্ত ঘোষণা দিয়ে জনগণের চোখে ধুলা দিচ্ছে। ভেতরে ভেতরে চলছে চাঁদাবাজি, যা ছিল নিছক আইওয়াশ।..

দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে এখন এনসিপি ও তাদের বৈষম্যবিরোধী কর্মসূচি। এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন আমজনতা দলের সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেছেন, এনসিপি জনগণকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তাদের চোখে ধুলা দেওয়ার কৌশল নিয়েছে।

তিনি বলেন, “নাহিদ মিথ্যাবাদী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছে। সে সাফ জানায়, বৈষম্যবিরোধী কার্যক্রম নাকি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অথচ সেই একই অফিস থেকে আবার বৈষম্যবিরোধী কাউন্সিলের আয়োজন করছে। এটা কীভাবে সম্ভব? যে কার্যক্রম নাকি বন্ধ হয়ে গেছে, সেটি অফিসিয়ালি আবার চলছে! এটাই প্রমাণ করে, তারা জাতির সামনে প্রতারণার খেলায় মেতে উঠেছে।”

তারেক রহমান আরো বলেন, এই কথিত বিলুপ্তি আসলে একটি কৌশল—একটি পরিকল্পিত আইওয়াশ। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে, প্রকৃত চেহারা আড়াল করতে তারা এই ঘোষণা দিয়েছে। কারণ, তারা এই কার্যক্রমের আড়ালে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত ছিল। জনগণের টাকায় গড়ে উঠেছে তাদের সংগঠন, অথচ সেই জনগণকেই তারা ধোঁকা দিয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ে এক ভয়াবহ লুটপাট চালানো হয়েছে। এনসিপির নেতাকর্মীরা প্রভাব খাটিয়ে টাকা তুলেছে, চাঁদা আদায় করেছে। কিন্তু যখন জনগণের ক্ষোভ বেড়ে গেল, তখন নিজেরাই ঘোষণা দিল যে কার্যক্রম নাকি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেন কেউ আর তাদের জবাবদিহি করতে না পারে।”

তারেক রহমান আরও যোগ করেন, “নাহিদ যখন বলেছিল যে কার্যক্রম বিলুপ্ত হয়ে গেছে, তখনো আমরা বলেছিলাম—এটা নাটক। এখন সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। মানুষের চোখে ধুলা দেওয়ার জন্যই তারা এই নাটক সাজিয়েছিল। অথচ সত্য হলো—বৈষম্যবিরোধী কাউন্সিল এখনো চলছে, এবং সেই কার্যক্রম আগের মতোই গোপনে পরিচালিত হচ্ছে।”

বিভিন্ন দল ও বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি সত্যিই এনসিপি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে থাকে, তাহলে সেটি রাষ্ট্রীয় নীতিমালারও লঙ্ঘন। এবং তা হলে আইনগতভাবে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, একটি সংগঠন যদি কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়ে পরে গোপনে চালিয়ে যায়, তাহলে সেখানে দুর্নীতি, লুটপাট এবং দায় এড়ানোর ষড়যন্ত্র থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

এদিকে এনসিপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি আসেনি।
তবে গোপন সূত্রে জানা গেছে, এনসিপি নেতৃত্ববৃন্দ এই ইস্যুতে বৈঠকে বসেছেন এবং মিডিয়ায় কী বলা হবে, তা নিয়ে একটি ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ প্ল্যান তৈরি করছেন।

অন্যদিকে, তারেক রহমান স্পষ্ট করে বলেছেন, “এখানে কেবল একটি দলের নয়, জনগণের অধিকার হরণের প্রশ্ন জড়িত। আমরা এটি নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আন্দোলনে যাব, যাতে সত্যের মুখোশ খুলে দেওয়া যায়।”

বর্তমানে এনসিপি ও তার কার্যক্রম নিয়ে জনগণের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যদি সত্যিই তারেক রহমানের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে তা শুধু এনসিপির জন্যই নয়, পুরো দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্যও অশনি সংকেত। জনগণের অর্থ ও আস্থাকে ঘিরে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি বিশ্বাসঘাতকতা করে, তাহলে রাষ্ট্রকে কঠোর পদক্ষেপ নিতেই হবে।

No comments found