close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

এমপি হয়ে তৃতীয় বিয়ে করতে চান ‘মুক্তি ঐক্যদল’-এর প্রধান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নূর ইসলাম সিকদার ‘বাংলাদেশ মুক্তি ঐক্যদল’ প্রধান হিসেবে তৃতীয় বিয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ২০২৪ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন, এবার বিএনপির সঙ্গে জোট করে জয় চান।..

ফরিদপুর: রাজনৈতিক মহলে নতুন আঙ্গিকে সাড়া জাগাচ্ছেন নূর ইসলাম সিকদার, যিনি নিজেকে ‘বাংলাদেশ মুক্তি ঐক্যদল’ নামে একটি দল গঠন করে তার সভাপতিত্ব করছেন। ৫৮ বছর বয়সী নূর ইসলাম, যিনি নূর ইসলাম সিকদার নামেও পরিচিত, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে দলটির নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন। দলের অফিসিয়া ঠিকানা হিসেবে দেওয়া হয়েছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রহমানিয়া সুপার মার্কেটের একটি ঠিকানা।

নূর ইসলাম বোয়ালমারী পৌরসভার গুণবাহা মহল্লার বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ী হলেও রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি আবদুল জব্বার সিকদারের ছেলে এবং এক সন্তানের জনক। তার প্রথম স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন, আরেক স্ত্রী ছেড়ে চলে গেছেন। নিজের তৃতীয় বিয়ের পরিকল্পনা সম্পর্কে নূর ইসলাম স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তিনি আবার বিয়ে করবেন।

২০০০ সালে ‘বাংলাদেশ মুক্তি ঐক্যদল’ গঠনের দাবি জানিয়ে নূর ইসলাম বলেন, আগের আওয়ামী লীগ সরকার তাদের দলকে নিবন্ধন দেয়নি। এর ফলে গত ১৭ এপ্রিল পুনরায় দলটির নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেন তিনি। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ২০০ সদস্য রয়েছেন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন আবদুস সালম, যিনি ঢাকার শেওড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। রাজধানীতে এখনো দলীয় অফিস না থাকলেও অচিরেই বিজয় সরণিতে অফিস খুলতে চান।

নূর ইসলামের আয়ের উৎস নিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর ওয়ারেন্ট অফিসার এবং মাসে ৯ হাজার টাকার পেনশন পান। এছাড়া তাঁর বাবার জমিতে কলাবাগান রয়েছে, কাঠপট্টিতে তার একটি শেয়ারও আছে। তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ও জড়িত আছেন।

২০২৪ সালের ফরিদপুর-১ আসনে একতারা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন নূর ইসলাম, তবে তার দাবি, আওয়ামী লীগ তার বিজয় ‘ছিনিয়ে নিয়েছিল’। এবার তিনি বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনে আমি বিএনপির সঙ্গে জোট করব এবং অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টি আসন পেতে পারব।’

স্থানীয়রা তাকে ‘এমপি সাহেব’ বলে সম্বোধন করেন। এ নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি এই এলাকার এমপি, এটা সবাই জানে। আমার অনেক সমর্থক রয়েছে।’

নূর ইসলামের রাজনৈতিক মিশন, দলীয় কার্যক্রম ও ব্যক্তিগত পরিকল্পনা নিয়ে এলাকাজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তৃতীয় বিয়ে এবং নতুন রাজনৈতিক দল গঠন—সব মিলিয়ে নূর ইসলামের রাজনীতিতে নতুন দিকনির্দেশনা আসতে পারে।

Inga kommentarer hittades