close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
একুশে পদক ২০২৫: দেশের শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের সম্মাননা প্রদান করবেন প্রধান উপদেষ্টা


আজ, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশিষ্ট ১৮ জন ব্যক্তি এবং একটি দলকে তাঁদের ক্ষেত্রবিশেষে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য একুশে পদক প্রদান করবেন। রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই বিশেষ অনুষ্ঠানটি সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে, যা সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন।
প্রতিবছর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে একুশে পদক প্রদান করে বাংলাদেশ সরকার। ১৯৭৬ সাল থেকে এই পুরস্কারটি দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখা সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, ভাষাসৈনিক, অর্থনীতিবিদ এবং সমাজসেবীদের সম্মাননা স্বরূপ প্রদান করা হচ্ছে। এবছর পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে চলচ্চিত্র, সংগীত, আলোকচিত্র, সাংবাদিকতা, গবেষণা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সমাজসেবা, ভাষা ও সাহিত্যে, এবং ক্রীড়াক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
এ বছর একুশে পদকপ্রাপ্তরা হলেন:
চলচ্চিত্রে: আজিজুর রহমান (মরণোত্তর), ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর), ফেরদৌস আরা।
আলোকচিত্রে: নাসির আলী মামুন।
চিত্রকলায়: রোকেয়া সুলতানা।
সাংবাদিকতায়: মাহফুজ উল্লাহ (মরণোত্তর), সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান।
গবেষণায়: মঈদুল হাসান।
শিক্ষায়: ড. নিয়াজ জামান।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে: মেহদী হাসান খান (দলনেতা), রিফাত নবী, মো. তানবিন ইসলাম সিয়াম, শাবাব মুস্তাফা (দলগত)।
সমাজসেবায়: মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর)।
ভাষা ও সাহিত্যে: হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর), শহীদুল জহির (মরণোত্তর)।
সংস্কৃতি ও শিক্ষায়: ড. শহিদুল আলম।
ক্রীড়ায়: বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাত থেকে একুশে পদক গ্রহণ করা এই ব্যক্তিত্বদের জন্য এক অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। সরকারের এই পদক প্রদান কর্মসূচি শুধু একক অর্জনকে সম্মানিত করে না, বরং দেশের জন্য তাঁদের অবদানের মূল্যায়নও করে।
এবারের একুশে পদক প্রদানের অনুষ্ঠানটি আরও বিশেষ কারণ, এতে যোগদান করবেন দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, সরকারী কর্মকর্তা এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সমগ্র জাতি এই সম্মানিত ব্যক্তিদের সাফল্যে গর্বিত এবং তাঁদের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞ।
একুশে পদক বাংলাদেশে নানান ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য এক উচ্চতম সম্মান, যা প্রতিটি প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস হতে থাকে।
コメントがありません