close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

একটি পালানো দল দেশের অস্থিতিশীলতার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
‘রাজনৈতিক বক্তব্যের মধ্যে অনেক তফাৎ আছে। কিন্তু তার মানে এই নয়, ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরেছে।..

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, একটি পালিয়ে যাওয়া দল এখনও দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান, নতুন সরকারের গঠন, দেশের সংস্কারের প্রক্রিয়া, অর্থনৈতিক সাফল্য, এবং রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ফাটল সত্ত্বেও দেশের সার্বভৌমত্বের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি দৃঢ় মনোভাব পোষণ করেন।


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি বিবিসি বাংলার সাথে একটি সাক্ষাৎকারে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সরকার পরিচালনার নানা দিক নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁর মতে, যদিও একটি রাজনৈতিক দল দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তারা এখনও দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। ড. ইউনূস এ বিষয়ে বলেন, "এটা সবসময় একটা হুমকি থাকে, বিশেষ করে যখন একটি পালিয়ে যাওয়া দল তাদের নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়।"

সরকার গঠনের চ্যালেঞ্জ এবং অগ্রগতি

ড. ইউনূস তাঁর বক্তৃতায় বলেন, "সরকার গঠন যখন হয়েছিল, তখন আমি কল্পনা করিনি যে এমন একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হবে যেখানে সব কিছু তছনছ হয়ে গেছে।" তাঁর মতে, প্রথম প্রাধান্য ছিল দেশের ভেঙে পড়া অবকাঠামো পুনরুদ্ধার এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবন সহজতর করা। ধীরে ধীরে সরকারের লক্ষ্য হয়ে উঠেছিল একটি টেকসই ভবিষ্যত নির্মাণ এবং দেশের সংস্কারের পথে এগিয়ে যাওয়া।

দেশের সংস্কারের প্রক্রিয়া

ড. ইউনূস আরও জানান, সরকারের প্রথম পদক্ষেপ ছিল "প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার" এবং "অর্থনীতির সহজীকরণ"। তিনি বলেছেন, গত ১৬ বছর ধরে দেশ কিছুই অর্জন করতে পারেনি। নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল না, এবং দুর্নীতি ও ব্যর্থতা ছিল দেশের অগ্রগতির মূল বাধা। সুতরাং, সরকার প্রথমেই "সংস্কার" গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যা দেশের উন্নতি ও পরিবর্তনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

আন্তর্জাতিক আস্থা ও দেশের অর্থনীতি

ড. ইউনূস বলেন, বর্তমান সরকার দেশ ও বিদেশের মধ্যে আস্থা অর্জনে সফল হয়েছে। তাঁর মতে, "দেশের অর্থনীতি সহজ করা এবং আন্তর্জাতিক আস্থা অর্জন করা আমাদের প্রথম সফলতা," এবং এই আস্থা ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশ সরকারের পরিচালনায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।

রাজনৈতিক দলগুলির ফাটল এবং ছাত্র রাজনীতি

এছাড়াও, প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ফাটল সম্পর্কে বলেন, "রাজনৈতিক বক্তব্যের মধ্যে অনেক তফাৎ থাকতে পারে, কিন্তু এর মানে এই নয় যে ঐক্য ভেঙে গেছে।" ছাত্রদের রাজনীতি করার ব্যাপারে তিনি বলেন, "যারা রাজনীতি করতে চান, তারা ইস্তফা দিয়ে চলে গেছে এবং তারা নিজেরাই প্রাইভেট সিটিজেন হিসেবে রাজনীতি করবেন।"

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিপন্নতা

সবশেষে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সম্ভাব্য বিপন্নতা নিয়ে ড. ইউনূস মন্তব্য করেন, "এটা সবসময় একটা হুমকি হিসেবে থাকে। একপাল পালানো দল এখনও সর্বাত্মক চেষ্টা করছে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার জন্য।" তবে তিনি দৃঢ়ভাবে বলেছেন যে সরকার দেশের সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।


ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তৃতা স্পষ্টভাবে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতির প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতা এবং দৃঢ় সংকল্পের প্রতিচ্ছবি। তাঁর ভাষণে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য কিছু বাহ্যিক শক্তির প্রচেষ্টা থাকলেও, সরকারের শক্ত অবস্থান এবং সংস্কারের পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে।

نظری یافت نشد


News Card Generator