যে সময় ১৫ থেকে ১৬ বছরের কিশোর তামিমের হইহুল্লোড় করে গ্রাম মাতানোর কথা, সে সময়ে তামিম বাঁশের লাঠি ও অন্যের উপর নির্ভর করে করছেন চলাফেরা। বাবার অর্থের অভাবে ছেলেকে কিনে দিতে পারেনি একটি হুইল চেয়ার। বলছি প্রতিবন্ধী তামিমের কথা।
তামিম দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের পুর্ব ফতেপুর দারুস সুন্নাহ হাফেজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও বেড়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী তামিম পুর্ব ফতেপুর দারুস সুন্নাহ হাফেজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসার হাফেজ শাখার শিক্ষার্থী। হুইল চেয়ার না থাকায় বাঁশের লাঠির উপরে ভর ও মাদ্রাসার সহপাঠীদের সহোযোগিতায় চলাফেরা করতে হয় তামিমকে।
দুই পায়ের হাঁটুতে পুরোপুরি ভর দিয়ে চলতে অক্ষম তামিমের স্বপ্ন একটি হুইল চেয়ার। দীর্ঘ সময়ে চিকিৎসা করেও তামিমকে সুস্থ করে তুলতে পারেনি তার পরিবার । দিনমজুর বাবার পক্ষে ছেলেকে একটি হুইল চেয়ার কিনে দেওয়ার সামর্থ নেই ।
তামিমের মা সুলতানা বেগম বলেন, ‘তামিমের পড়াশোনা করার খুব আগ্রহ। এই অদম্য ইচ্ছা তাকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। কয়েক বছর হলো ভ্যানে করে তাকে মাদ্রাসায় আনা-নেয়া করা হয়। আমার হুইল চেয়ার কিনে দেয়ার সামর্থ্য নেই। সরকার ও সকলের সহ্যসহোযোগিতায় একটা হুইল চেয়ার হলে খুব ভালো হয়।
পুর্বফতেপুর মাদ্রাসার মুহতামিম জিয়াউর রহমান বলেন, তামিম ছাত্র হিসেবে মোটামুটি ভালো। আমাদের মাদ্রাসা থেকে অনেক দূরে তামিমের বাড়ি, শারিরীক প্রতিবন্ধী হওয়াতে চলাফেরা করতে কষ্ট হয়, এজন্য মাদ্রাসায় থেকেই পড়াশোনা করেন তামিম।
তবে একটি হুইল চেয়ার থাকলে চলাচল করতে অসুবিধা হতো না তামিমের। তাই এসব প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারের বিশেষ নজর দেয়া দরকার। তাহলেই তারা এই প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ভালো কিছু করতে পারবে। তামিমকে সহোযোগিতা করতে যোগাযোগ করুন:-০১৭০৬৮৪৮০০৫।