কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলাধীন চকোরি আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) মোহাম্মদ কামাল হোসেন ২০১৫ সাল থেকে ঐ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। ২০১৯ সালে তিনি সরকারি শিক্ষক (এমপিওভুক্ত) হিসেবে স্বীকৃতি পান। তবে অভিযোগ উঠেছে, একই ব্যক্তি চকরিয়া সিটি কলেজে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে প্রভাষক হিসেবেও ২০১৫ সাল থেকেই কর্মরত এবং সেই পদে সরকারি সুবিধাও গ্রহণ করছেন।
বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী, একজন শিক্ষক একাধিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন না। এটি গুরুতর অনিয়ম এবং সরকারি অর্থের অপব্যবহারের শামিল।
এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, চকরিয়া সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ব্যক্তিগত স্বার্থে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করছেন প্রায় ৫ কোটি মত এবং নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে অনিয়মিতভাবে শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
এব্যপারে চকরিয়া সিটি কলেজের অধ্যক্ষ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস'কে নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ কামাল হোসেন সরকারি সিটি কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন প্রভাষক। তবে সরকারি বিধি মালা লঙ্ঘন করে অন্য প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কিভাবে আরেক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত হয় এমন প্রশ্নে অধ্যক্ষ তৎক্ষনাৎ নিয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি ভিত্তিহীন দাবি করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অত্র কলেজের এক শিক্ষক জানান, ‘আমি জানি একজন শিক্ষক একাধিক প্রতিষ্ঠানে থেকে এমপিও সুবিধা নিতে পারেন না। অথচ আমি নিজ চোখে দেখেছি কয়েকজন শিক্ষক, যাদের মধ্যে একজনের নাম মোহাম্মদ কামাল হোসেন দুই জায়গা থেকে সরকারি সুবিধা নিচ্ছেন। এটা সরকারি বিধিমালা লঙ্ঘন, এটা অন্যায়।’
অভিযুক্ত শিক্ষক কামাল হোসেন একইভাবে জানান তিনি চকরিয়া সিটি কলেজে ২০১৫ সাল থেকেই নিয়োগপ্রাপ্ত একজন প্রভাষক। তবে আরেক প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্তির কথা তুলতেই তিনিও অধ্যক্ষের পথ অনুসরণ করে সুর পাল্টে ফেলেন। তিনি বলেন, চকরিয়া সিটি কলেজের এমপিও বাতিল করা হয়েছে।
চকোরি আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক ওসমান গনী বলেন, ‘কামাল হোসেন চকরিয়া সিটি কলেজে ক্লাস নেওয়ার বিষয়টি আমি জানি৷ তবে তিনি নিয়োগপ্রাপ্তের বিষয়টি যদি আমাদের কাছে গোপন করে থাকেন তবে প্রতিষ্ঠান কমিটিকে অবহিত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এব্যারে চকরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘একজন শিক্ষক কোনো ভাবেই দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারবেন না। এটা নিয়ম বর্হিভুত। অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।’
এই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্রুত তদন্ত ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি। স্থানীয় অভিভাবক সমাজ ও সচেতন নাগরিকরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
একই সঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানে সরকারি সুযোগ, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ!..


No comments found